সোমবার মর্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন ঘোষণা করেন যে সপ্তাহান্তে আলোচনার ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে পুনঃস্থাপন হয়েছে। তখন শেয়ার বাজারেও উল্লম্ফন ঘটে। যা দুই দেশের মধ্যে উচ্চ ঝুঁকির অচলাবস্থা প্রশমিত করার জন্য কিছুটা কার্যকর হয়েছে।
সুইজারল্যান্ডে আলোচনার ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে জানুয়ারি থেকে স্থগিত থাকা ‘যথাযথ’ শুল্কের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র এই শুল্ক ১৪৫% থেকে কমিয়ে ৩০% করবে, অন্যদিকে চীনের প্রতিশোধমূলক শুল্ক ১২৫% থেকে কমিয়ে ১০% করবে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, যেহেতু কিছু শুল্ক সম্পূর্ণভাবে বাতিল করার পরিবর্তে স্থগিত করা হয়েছে। তাই আরও কোনও অগ্রগতি না হলে তিন মাসের মধ্যে আবার বাড়তে পারে।
তবে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি আশা করেন না যে তারা আগের মতো ১৪৫% শুল্কে ফিরে আসবে। তিনি বলেন, আমরা চীনের ক্ষতি করতে চাইছি না। চীন খুব খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তারা কারখানা বন্ধ করে দিচ্ছিল। তাদের মধ্যে প্রচুর অস্থিরতা চলছিল এবং তারা আমাদের সাথে কিছু করতে পেরে খুব খুশি।
ট্রাম্প বলেছেন, যতিনি সপ্তাহের শেষে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে কথা বলবেন বলে আশা করছেন।
বিনিয়োগকারীরা উত্তেজনা হ্রাসকে স্বাগত জানিয়েছেন। সোমবার লেনদেন শুরু হওয়ার সাথে সাথে ডাউ জোন্স এবং এসএন্ডপি সূচক ২.৫% এরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রযুক্তি-ভারী নাসডাক ৩.৩% বৃদ্ধি পেয়েছে।
সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল