জাপানে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে মার্কিন নৌবাহিনীর দুই সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে জাপানের ওকিনাওয়ায় নারী ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়।
প্রথম অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মার্চে জাপানে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়। এছাড়া ওই নারীকে আঘাত করার অভিযোগও আনা হয়।
অপর নৌ সদস্যের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ করা হয়। বলা হয়, জানুয়ারিতে এক মার্কিন ঘাঁটিতে জাপানি নারীকে ধর্ষণ করে সে। বৃহস্পতিবার দেশটির পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অভিযুক্ত দুই ব্যক্তির বিষয়ে তদন্ত চলমান।
জাপানে প্রায় ৫৪ হাজার মার্কিন সামরিক কর্মী নিয়োজিত আছে। এদের বেশির ভাগই ওকিনাওয়ার দক্ষিণ দ্বীপে।
এদিকে দুটি মামলাই প্রসিকিউটরদের কাছে পাঠিয়েছে পুলিশ। জাপানে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত জর্জ গ্লাস বলেন, ঘটনা তদন্তে জাপানের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করবে ওয়াশিংটন।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, কয়েক দশক ধরে জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিশ্বাস ও বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে। ওই বন্ধন বিপন্ন করতে পারে এমন যেকোনও পদক্ষেপ প্রতিরোধ করতে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
শুক্রবার মার্কিন সেনা সদস্যরা জাপানি কর্মকর্তা ও ওকিনাওয়ার বাসিন্দাদের সঙ্গে মিলে রাত্রিকালীন টহল দেন। ওকিনাওয়াতে যৌন নির্যাতনে আমেরিকান সেনাদের জড়িত থাকার ঘটনায় ১৯৭৩ সালের পর এই প্রথম এমন যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হলো।
২০২৪ সালের জুনে ২১ বছর বয়সী এক নৌ সদস্যের বিরুদ্ধে জাপানি নারী ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়। এর কয়েক মাস আগে ১৬ বছরের কম বয়সী কিশোরীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে প্রসিকিউটররা ২৫ বছর বয়সী মার্কিন সেনাকে অভিযুক্ত করেন।
জাপানের গভর্নর ডেনি তামাকি সর্বশেষ ঘটে যাওয়া ওই ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে অভিহিত করেছেন। এছাড়া জাপানের কর্তৃপক্ষ এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটাতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীকে তাগিদ দেবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, সিএনএ, দ্য স্ট্রেইটস টাইমস
বিডি প্রতিদিন/একেএ