বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, দেশের ব্যবসা ও বিদেশি বিনিয়োগ আনার প্রক্রিয়া সহজ করতে সব ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এর মধ্যে ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো চালুসহ বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীদের সমস্যা নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য সহযোগী অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনার পথ খোলা আছে। যে কোনো সমস্যা সমাধান করা হবে। গতকাল রাজধানীর কুড়িলে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় ‘মিট বাংলাদেশ এক্সপোজিশন’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ইসিফোরজে প্রকল্পের পরিচালক আবদুর রহিম খান, বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান সুহাইল কাসিম, ঢাকা কার্যালয়ের বেসরকারি খাতবিষয়ক জ্যেষ্ঠ বিশেষজ্ঞ হোসনা ফেরদৌস, দুবাই ও সংযুক্ত আরব আমিরাত আল নোকবা গ্রুপের প্রধান নির্বাহী সুলতান এম আলবিশি প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে উদ্ভাবনে যেতে হবে, নতুন বাজার খুঁজতে হবে। এর জন্য নির্দিষ্ট পণ্যের ওপর নির্ভর করে টিকে থাকার মানসিকতা থেকে সরে আসতে হবে। এ ছাড়া রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ এখন সময়ের দাবি। বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান সুহাইল কাসিম বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণ হয়ে গেলে বাংলাদেশে বিদেশি সহায়তা কমে যাবে। তাই ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে আরও শক্তিশালী হতে হবে। দেশের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ও প্রযুক্তি উন্নয়নে আরও মনোযোগী হতে হবে।
বিপিজিএমইএর সভাপতি শামীম আহমেদ বলেন, দেশের তৈরি পোশাকশিল্প প্রধান রপ্তানি পণ্য হলেও অন্যান্য পণ্যের রপ্তানি নিয়েও ভাবতে হবে। দেশের জিডিপিতে ৩০ শতাংশ অবদান রাখে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো। দুই দিনব্যাপী প্রদর্শনীতে ১ হাজারের বেশি স্থানীয় ক্রেতা ও ১২০টি বাংলাদেশি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। আন্তর্জাতিক সোর্সিং এজেন্ট ও ক্রেতারা বাংলাদেশি উৎপাদনকারী বিভিন্ন শিল্পকারখানা পরিদর্শন করবেন। প্রদর্শনীতে রপ্তানিযোগ্য বাংলাদেশি চামড়া, চামড়াজাতীয় পণ্য, ফুটওয়্যার, এমপিপিই, প্লাস্টিক ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের ১২০টির বেশি প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য প্রদর্শন করছে।