চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার আয়তন বৃদ্ধি করে দ্বিগুণ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এজন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন থেকে চিড়িয়াখানা সম্প্রসারণের জন্য ১০ একর খাসজমি বরাদ্দ পাওয়া গেছে। নতুন এ জায়গাটি যুক্ত হলে বর্তমান চিড়িয়াখানার অন্যান্য প্রাণীর খাঁচা ও বিচরণের ক্ষেত্র বড় করা হবে। এতে চিড়িয়াখানার প্রাণীরা বর্তমানের চেয়ে বেশি স্বস্তিতে বাঁচবে। একই সঙ্গে যেসব প্রাণী বর্তমানে চিড়িয়াখানায় নেই যেমন- হাতি, জিরাফ, চিতাবাগ, হায়েনাসহ বিভিন্ন প্রজাতির নতুন নতুন প্রাণী যুক্ত করা হবে। একই সঙ্গে দর্শনার্থীদের জন্যও চিড়িয়াখানা আরও উপভোগ্য হবে। বৃদ্ধি পাবে দর্শনার্থীদের বিনোদনের জায়গাও। কিন্তু চিড়িয়াখানার জন্য বরাদ্দ ও অধিগ্রহণকৃত ওই জমিতে নির্মাণকাজ করতে গিয়ে বারবার বাধার সম্মুখীন হচ্ছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। নির্মাণকাজে বাধা দিচ্ছে স্থানীয় স্বার্থান্বেষী মহল।
জানা যায়, অধিগ্রহণকৃত অংশটি সরকারি খাসজমি হলেও স্থানীয় কিছু স্বার্থান্বেষী মহল একাধিকবার এ জমির সীমানা দেয়াল ভেঙে দিয়েছে। সর্বশেষ গত বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ২০-২৫ জনের একটি দল এসে সীমানাপ্রাচীরে কয়েকটি স্থানে ভেঙে ফেলে এবং কর্মরত নির্মাণ শ্রমিকদের ওপর হামলা চালায়। এতে দুজন আহত হন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে পুনরায় কাজ শুরু করেন শ্রমিকরা। সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে একদল পুলিশকে পাহারারত দেখা যায়।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে চিড়িয়াখানার আকার বৃদ্ধির পরিকল্পনা হিসেবে বছর দেড়েক আগে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন চিড়িয়াখানার জন্য ১০ একর খাসজমি বরাদ্দ দেয়। নতুন এই জায়গায় একটি মনোরম এভিয়ারি পার্ক তৈরি করা হবে।