ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সশস্ত্র হামলার জেরে উত্তপ্ত ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক। ভয়াবহ এ হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিলসহ বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। এর পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ভারতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান।
ওপার বাংলার প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, যুদ্ধের আশঙ্কায় পাল্টা প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসলামাবাদ। সেই লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সীমান্ত লাগোয়া ঘাঁটিগুলোতে সেনার সংখ্যা বৃদ্ধি করেছেন রাওয়ালপিন্ডির সেনাকর্তারা। সমাজমাধ্যমে এই খবর ছড়িয়ে পড়লেও পাকিস্তানের সেনাবাহিনী অবশ্য এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
গণমাধ্যমটি আরও জানায়, সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় ইসলামাবাদের সৈন্যসংখ্যা বৃদ্ধির প্রমাণ মিলেছে বিমান ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ‘ফ্লাইটরাডার২৪’-এর স্ক্রিনশট থেকে। এক্স হ্যান্ডলে সেগুলোকে ছড়িয়ে দেন ভারতীয় নেটাগরিকদের একাংশ। ওই স্ক্রিনশট অনুযায়ী, পহেলগাঁও কাণ্ডের পর দক্ষিণের করাচি ঘাঁটি থেকে একের পর এক যুদ্ধবিমান উত্তরের লাহোর এবং রাওয়ালপিন্ডির কাছে মোতায়েন করেছে ইসলামাবাদ। এর সত্যতা অবশ্য যাচাই করেনি আনন্দবাজার পত্রিকা।
উল্লেখ্য, করাচির ‘সাউথ এয়ার কমান্ড’ থেকেই গোটা দক্ষিণাঞ্চলের যাবতীয় অপারেশন পরিচালনা করে পাকিস্তান বিমানবাহিনী। উত্তরাঞ্চলে ভারতের সীমান্তের কাছে ইসলামাবাদের মোট চারটি সেনা ছাউনি রয়েছে। সেগুলো হলো লাহোর সংলগ্ন সারগোধা ও মুরিদ এবং রাওয়ালপিন্ডি সংলগ্ন চাকলালা ও নুর খান। এই ঘাঁটিগুলোকে তাদের শিরদাঁড়া বলে মনে করেন দেশটির প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা।
বিডি-প্রতিদিন/শআ