চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার চেয়ে পাঁচগুণ বেশি বিষাক্ত ও মৃত্যুহার খুব বেশি। এটি বেশি ছোঁয়াছে ও প্রাণঘাতী।
বুধবার দুপুরে চসিকের কনফারেন্স কক্ষে করোনা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়ে আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. অং সুই প্রূ মারমা, চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন, সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আকরাম হোসেন ও চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা। উপস্থিত ছিলেন চসিকের সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান।
চসিক মেয়র বলেন, করোনা সহজে শনাক্ত হয় না। তাই মাস্ক পরা জরুরি। রোগীর কাশি, জ্বর নাও থাকতে পারে। হাঁটু জয়েন্ট, অস্থি, পিঠ, মাথা ও গলা ব্যথা, নিউমোনিয়া থাকবে, ক্ষুধা কমে যাবে। অল্প সময়ে উপসর্গ মারাত্মক আকার ধারণ করে। সরাসরি ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায়। যথাসম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলুন। আমাদের আতঙ্কিত হলে চলবে না। আগে যখন ২০২০ সালে করোনা দেখা দিয়েছিল তখন চিকিৎসার গাইডলাইন দিতে পারেনি। এখন অভিজ্ঞ চিকিৎসক আছেন। আমরা আজ বসেছি, কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় আমাদের যে ঘাটতি ছিল তা দূর করতে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, বিআইটিআইডি, সিভাসু ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পিসিআর টেস্ট বা করোনা রোগীর নমুনা পরীক্ষা করা হবে। এ ছাড়া সব হাসপাতালে তাৎক্ষণিক এন্টিজেন টেস্ট করা হবে। অতীতে অসাধু ব্যবসায়ীরা মাস্ক, কিট, ভ্যাকসিন নিয়ে ব্যবসা করেছে। এবার জেলা প্রশাসন ও চসিকের ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চট্টগ্রামসহ সারাদেশের অনেক রোগী ভারতে চিকিৎসাধীন। তাই বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে যাত্রীদের পরীক্ষা করাতে হবে। তাছাড়া, করোনা নিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদানে একটি সার্ভিস সেন্টার চালু করবে। যেখানে নাগরিকরা ফোন করে প্রয়োজনীয় সহায়তা পাবেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল