দক্ষিণ আফ্রিকায় ভয়াবহ বন্যায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে স্কুলগামী শিশুরাও রয়েছে। তারা একটি স্কুলবাসে ছিল। প্রবল স্রোতে বাসটি নদীতে ভেসে যায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।
দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ ইস্টার্ন কেপ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রবল ঠাণ্ডা আবহাওয়ার কারণে সেখানে ভারী বৃষ্টি ও তুষারপাতে নদীর পানি হঠাৎ বেড়ে যায় এবং বন্যা শুরু হয়। অনেক মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে এবং বহু সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার সকালে ডেকোলিগনি গ্রামের কাছে একটি স্কুলবাস বন্যার পানিতে পড়ে যায়। বাসটিতে মোট ১৩ জন ছিল—এর মধ্যে স্কুলশিক্ষার্থী, চালক ও সহকারীও ছিলেন। ইস্টার্ন কেপ প্রদেশের প্রধান লুবাবালো অস্কার মাবুয়ানে জানান, চারজন শিক্ষার্থী, চালক এবং কন্ডাক্টর—সবমিলে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
এখনও চারজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। উদ্ধারকারী দল তাদের সন্ধানে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে তিনজন শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার কার্যালয়। শোকবার্তায় তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা সম্প্রতি ঘন ঘন এমন দুর্যোগে পড়ছে। ২০২২ সালেও প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে ডারবান ও কোয়াজুলু-নাটাল এলাকায় প্রায় ৪০০ জন মারা যান।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল