ভারতে নতুন ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় সহিংসতার ঘটনায় প্রাণ গেছে তিনজনের। এছাড়াও পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া, সম্পত্তি ধ্বংস, অগ্নিসংযোগ, গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে।
এনিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির অভিযোগ 'পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছে। আমি জনগণের কাছ থেকে অনেক তথ্য পাচ্ছি।' তার দাবি 'তৃণমূল কংগ্রেস যদি গণ্ডগোল করত, তাহলে তাদের দলের তিনজনের বিধায়কের বাড়িতে ভাঙচুর হতো না, দলীয় কার্যালয়ও ভাঙচুর হতো না।'
বুধবার কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে ইমাম, মুয়াজ্জেম ও বুদ্ধিজীবীদের সম্মেলনে উপস্থিত থেকে মমতা কার্যত স্বীকার করে নিয়ে বলেন 'ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে কিছু অশান্তি হয়েছে, প্ররোচনামূলক কথাবার্তাও হয়েছে। যেখানে গন্ডগোল হয়েছে ওটা মুর্শিদাবাদ জেলা হলেও সেটা মালদহের আসন। ওটা কংগ্রেসের জেতা আসন। জেতবার সময় জিতবে, আর দাঙ্গা হলে রাস্তায় বেরোবে না, নিয়ন্ত্রণ করবে না- এইটুকু আশা আমি করিনি। কংগ্রেসের উচিত ছিল পরিস্থিতি শান্ত করা।'
ভারতের সংসদে ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাশ, তা আইনে পরিণত করা এবং কার্যকর করার সময়সীমা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মমতা ব্যানার্জি। তার প্রশ্ন 'ওয়াকফ আইন নিয়ে এত তাড়াহুড়ো করার কি দরকার ছিল? আপনারা কি একসাথে ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনার খেতে পারেন? যদি তাই হত তবে সময়টা কেন ভাগাভাগি করা রয়েছে? আমি উস্কানিমূলক বক্তৃতা দিতে আসিনি, কারণ আমি শান্তি চাই।'
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির মুসলিম দেশ সফর ও সেই দেশের নেতাদের সাথে সাক্ষাৎ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মমতা ব্যানার্জি। তার কটাক্ষ 'আপনি আরব আমিরাতে গেলে কার সাথে দেখা করেন? মুসলিমদের সাথে দেখা করেন না? আপনি যখন সৌদি আরবে যান তখন কার সাথে গলা মেলান? দুবাইয়ে গেলে কার আতিথেয়তা গ্রহণ করেন? দেশে এক কথা বলেন আর বাইরে গিয়ে আরেক কথা বলেন! এই দ্বিচারিতা চলবে না। আপনার তো লজ্জা হওয়া উচিত। নির্বাচনের সময় আপনি বলেন, আমরা সকলের সাথে, সকলের পাশে। আর ভোট হয়ে গেলেই আপনাদের নেতারা বলেন যারা ভোট দেবে, আমরা তাদের পাশে রয়েছি।'
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল