বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ হলে পশুপাখি সংরক্ষণে সময়োপযোগী আইন করা হবে। তিনি বলেন, সমাজে মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে পারলে পশু-প্রাণীর অধিকারও নিশ্চিত করা যাবে। কারণ রাষ্ট্রে গণতন্ত্র এবং শুদ্ধাচার বিদ্যমান থাকলে বাস্তুতন্ত্র নিরাপদ থাকে। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘প্রাণী ও প্রাণের মেলা’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভার্চুয়াল বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
বাংলাদেশ অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক চিত্রনায়ক আদনান আজাদের সভাপতিত্বে ও মুস্তাকিম বিল্লাহ এবং লোভা আহমেদের পরিচালনায় দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক আবদুল হাই শিকদার, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির কোষাধ্যক্ষ রশিদুজ্জামান মিল্লাত, দলের স্থানীয় সরকারবিষয়ক সহসম্পাদক শাম্মি আকতার, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবদুল লতিফ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনোয়ার হোসেন তুহিন, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান, বাংলাদেশ অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান উদ্যোক্তা আতিকুর রহমান রুমন, ব্যবসায়ী অভীক ইসকান্দার প্রমুখ বক্তব্য দেন। এ ছাড়া বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান, আমরা বিএনপি পরিবারের উপদেষ্টা মো. আবুল কাশেম, ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা-ই জামান সেলিম, সদস্যসচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, বিএডাব্লিউইএর আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিশাত তামান্না জামান, ডা. আতিকুর রহমান মিঠু, চিত্রনায়িকা আইরিন সুলতানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিকাল ৪টায় পবিত্র কোরআন থেকে হাফেজ মওলানা আবদুল আজিজের তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে মিডিয়া পার্টনার ছিল ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’।
তারেক রহমান সর্বস্তরের মানুষের উদ্দেশে বলেন, রাষ্ট্র যখন মানুষের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ তখন আমরা প্রাণী রক্ষা নিয়ে আলোচনা করছি। জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং বন্য প্রাণী রক্ষায় সবাইকে সচেতন হতে হবে। শুধু আইন করে প্রাণীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে না, প্রয়োজন গণসচেতনতা। তিনি বলেন, মানুষের নিজের প্রয়োজনেই পশু-প্রাণীদের বাঁচিয়ে রাখা দরকার। কিন্তু বর্তমান অবস্থা আমাদের অনেকের মনে অসহিষ্ণুতা জন্ম দিয়েছে, তা কাটিয়ে মানবিক মানুষ হয়ে ওঠার জন্য মনুষত্ব অর্জন আর পশুত্ব বর্জনই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
তারেক রহমান আরও বলেন, আমাদের প্রতিদিনের আলোচনায় সাধারণত গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা, রাজনীতি, মানুষের অধিকার আদায়ের কথা- সাধারণত এসব বিষয়ই থাকে। আজকের অনুষ্ঠানটি সামগ্রিকভাবে একেবারেই ব্যতিক্রম। প্রাণী, বন্যপ্রাণী বা পশুপাখিসমূহকে আমরা যেভাবেই ডাকি বা চিনি না কেন তাদের মধ্যে কিছু প্রাণী বা পশুপাখির বাস কিংবা খাবারের ব্যবস্থা মানুষই করে থাকে। আবার কিছু বণ্যপ্রাণী ও পশুপাখি আছে যাদের বসবাস ও খাবারের ব্যবস্থা তারা নিজেরাই করে থাকে। পশুপাখি কিংবা বন্যপ্রাণী অর্থাৎ আল্লাহতায়ালার প্রতিটি সৃষ্টি তারা কিন্তু একে অপরের জন্য উপকারী। এসব প্রাণী বা পশুপাখির অধিকার নিশ্চিত করার জন্য বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। নদী, জলাভূমি ভরাট বা বন উজাড়সহ নানা কারণে একদিকে জীববৈচিত্র্য যেমন হুমকির মুখে পড়ছে- ঠিক একইভাবে বন্যপ্রাণী পাচারের ঘটনাও কিন্তু বেশ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে।