রাজধানীর মৌচাকের ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পার্কিংয়ে প্রাইভেট কার থেকে জাকির হোসেন (২৮) ও মিজানুর রহমান মিজানের (৪৪) লাশ উদ্ধার হয়। আদম ব্যবসায়ীরা তাঁদের ঢাকায় এনে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ জাকিরের বাবা আবু তাহেরের। গতকাল ঢাকা মেডিকেলের মর্গে তিনি এ অভিযোগ করেন। এর আগে সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টায় লাশ দুটি উদ্ধার করে পুলিশ। আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। জানা গেছে, জাকির নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। মিজান একই উপজেলার রামনারায়ণপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আবদুল হাফিজের ছেলে।
জাকিরের বাবা বলেন, ‘আমার ছেলে পেশায় গাড়িচালক। যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য গুলিস্তানের একটি ট্রাভেল এজেন্সিকে ২৫ লাখ টাকা জমা দেয়। রবিবার সকালে আদম ব্যবসায়ীরা মিজান ও আমার ছেলেকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে রোগী দেখার কথা বলে নিয়ে যায়। দুই বছর আগে দালালের চক্রান্তে পড়ে ওই ট্রাভেল এজেন্সিকে ২৫ লাখ টাকা দেয় আমার ছেলে। কিন্তু তারা তাকে যুক্তরাষ্ট্রে না পাঠিয়ে শ্রীলঙ্কা থেকে প্রায় ছয় মাস ঘুরিয়ে নিয়ে আসে। এর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা বললে আদম ব্যবসায়ী মিরাজ, বজলু, ইমন, রাশেদ ও ফরহাদ হুমকি দিত। তারা আমার ছেলেকে কয়েকবার মারধর করেছে। পরবর্তী সময়ে সেই টাকাও ফেরত দেয়নি। রবিবার সেই টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরদিন জাকির ও মিজানের লাশ উদ্ধার হয়। আমাদের ধারণা, আমার ছেলেকে হত্যার পর ওই গাড়িতে লাশ রেখে গেছে।’
রমনা থানার ওসি গোলাম ফারুক বলেন, ‘বেসমেন্টের নিচে একজন ধূমপান করতে গিয়ে তাদের মৃত অবস্থায় গাড়ির মধ্যে দেখতে পান। পরে আমাদের খবর দিলে লাশ উদ্ধার করি। সিসিটিভি ফুটেজ যাচাইবাছাই করা হচ্ছে। বিষক্রিয়া বা শ্বাসকষ্টে তাদের মৃত্যু হতে পারে। সব বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত চলছে।’