বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক বলেছেন, নির্বাচনব্যবস্থায় এমন পরিবর্তন হওয়া দরকার ছিল যাতে দুর্বৃত্তায়ন, পেশিশক্তি, কালো টাকা ও সন্ত্রাসের আধিপত্য বন্ধ হয়। কিন্তু ৫ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে সেই অভিপ্রায় দেখা যায়নি। অন্তর্বর্তী সরকার কাঙ্ক্ষিত মান তো দূরের কথা, ন্যূনতম সংস্কারের প্রত্যাশাও পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ ব্যর্থতায় বিএনপিরও বড় ভূমিকা রয়েছে। গতকাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ খেলাফত শ্রমিক মজলিস আয়োজিত জাতীয় শ্রমিক কনভেনশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক মুফতি শরাফত হোসাইন। কনভেনশন উদ্বোধন করেন জুলাই গণ অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ করে মামুনুল হক বলেন, দায়িত্ব নিয়েছেন যখন, নির্বাচনি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি ছাড়া আপনার মুক্তির উপায় নেই। শাপলার রক্তকে স্বীকৃতি, বিডিআর হত্যাকাণ্ড ও জাতীয় ষড়যন্ত্রকে ঘোষণায় অন্তর্ভুক্ত করে সেটিকে আইনি ভিত্তি দিতে হবে। তিনি বলেন, পৃথিবীর প্রতিটি বিপ্লব ও আন্দোলনে শ্রমিক-জনতার অভূতপূর্ব অবদান রয়েছে। চব্বিশের ছাত্র গণ অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছে ছাত্র-জনতা, কিন্তু রাজপথ দখল ও ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে রক্ত ও জীবন দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম স্টেকহোল্ডার ছিলেন দেশের শ্রমিক-জনতা। দুঃখজনক হলেও সত্য, তাদের নিরলস ও সংগ্রামী ভূমিকার জাতীয় বা রাষ্ট্রীয় মূল্যায়ন আমরা করতে পারিনি। এটি বাংলাদেশের ব্যর্থতা, অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা।
এতে আরও বক্তব্য দেন খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, নায়েবে আমির মাওলানা রেজাউল করীম জালালী, সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট মাওলানা শাহিনুর পাশা চৌধুরী, মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দীন আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা তফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মুসা, মাওলানা আবুল হাসনাত জালালী, মাওলানা মুহাম্মদ ফয়সাল, মাওলানা হেদায়াতুল্লাহ হাদী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সিনিয়র সহসভাপতি মুহাম্মদ হারুনুর রশীদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা সানাউল্লাহ আমিনী প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব মাওলানা আবু সাঈদ নোমান ও উচ্চতর পরিষদ সদস্য আজিজুর রহমান হেলাল।