ক্রীড়াঙ্গনে ভালো একটি দিন পার করেছে বাংলাদেশ। ফুটবল ও হকির পর ক্রিকেটেও জিতেছে গতকাল। গ্লোবাল সুপার কাপে বাংলাদেশের রংপুর রাইডার্সও জয় পেয়েছে। অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে শেষ মিনিটের গোলে বাংলাদেশ ৩-২ গোলে হারিয়েছে নেপালকে। চীনের দাজুতে অনূর্ধ্ব-১৮ এশিয়া কাপ নারী হকি চ্যাম্পিয়নশিপে তৃতীয় স্থান নির্ধারণি ম্যাচে কাজাখস্তানকে ৬-২ গোলে হারায় বাংলাদেশ। ডাম্বুলার রাঙগিরি স্টেডিয়ামে ফ্লাড লাইটের আলোয় লিটন দাসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ৮৩ রানে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কাকে। দ্বীপরাষ্ট্রের বিপক্ষে টি-২০ ম্যাচে এটা সবচেয়ে বেশি রানের ব্যবধানে জয় টাইগারদের। আগের জয়টি ৪৫ রানে। অবশ্য টি-২০ ক্রিকেটে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয় পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ৮৪ রানে, ২০২১ সালে টি-২০ বিশ্বকাপে। টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর বিপক্ষেও এটা সবচেয়ে বড় জয়। আগেরটি ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৮০ রানে। গতকালের দুরন্ত জয়ে ৩ ম্যাচ টি-২০ সিরিজে সমতা এনেছে টাইগাররা। ১৬ জুলাই কলম্বোয় সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি অলিখিত ফাইনালে রূপ নিল। পাল্লেকেলেতে প্রথম ম্যাচটি শ্রীলঙ্কা জিতেছিল ৭ উইকেটে।
ডাম্বুলায় এই প্রথম টি-২০ ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। অভিষেক ম্যাচেই বাজিমাত। জয়টি আবার টানা ৬ ম্যাচ হারের বৃত্ত ভেঙেছে। নতুন করে দায়িত্ব পাওয়ার পর লিটন সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে টানা ২টি এবং পাকিস্তানের কাছে টানা ৩ ম্যাচ হেরেছিল। এরপর পাল্লেকেলেতে হার। টানা ৬ হারের পর অবশেষে জিতেছে ডাম্বুলায়। অধিনায়ক লিটনের ১০ ম্যাচে এটা চতুর্থ জয়।
ডাম্বুলায় ৫টি ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা ছিল টাইগারদের। ২০১০ সালে এশিয়া কাপের তিন ম্যাচেই হেরেছিল। ২০১৭ সালে ২ ম্যাচের একটি ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। আরেকটি ৯০ রানে জিতেছিল তামিম ইকবালের সেঞ্চুরিতে। সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে ডাম্বুলার রাঙগিরিতে খেলেছে গতকাল। অধিনায়ক লিটনের ৫০ বলে ১ চার ও ৫ ছক্কায় ৭৬ রান ও শামীম পাটোয়ারীর ২৭ বলে ৪৮ রানে ভর করে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৭ রান করে বাংলাদেশ। অধিনায়ক লিটন ১৩ ম্যাচ পর হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস খেলেন। ১৭৮ রানের টার্গেটে ১৫.২ ওভারে ৯৪ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। লেগ স্পিনার রিশাদ ১৮ রানের খরচে ৩টি, বাঁ-হাতি পেসার শরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ২টি করে উইকেট নেন। ৭৬ রান এবং ২টি ক্যাচ ও স্ট্যাম্পিং করে ম্যাচসেরা হয়েছেন লিটন দাস।