সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল গ্রেপ্তার হয়েছেন। গতকাল রাজধানীর মগবাজার থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এর আগে রবিবার আর এক সাবেক সিইসি কে এম নূরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এদিকে কে এম নূরুল হুদাকে হেনস্তার মামলায় গ্রেপ্তার তিনজনকে গতকাল জামিন দিয়েছেন আদালত। তাঁরা হলেন ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের মোজাম্মেল হক ঢালী, উত্তরা পশ্চিম থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ এবং একই থানার যুগ্ম আহ্বায়ক মো. কাইয়ুম।
প্রহসনের নির্বাচন করার অভিযোগে রবিবার সাবেক তিন সিইসিসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে শেরেবাংলানগর থানায় মামলা করেন বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন খান। মামলায় ২০১৪ সালের নির্বাচনে সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে সিইসি কে এম নূরুল হুদা এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আসামি করা হয়। ডিবি পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার এড়াতে নিজ বাসা ছেড়ে মগবাজারের একটি বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন সাবেক সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (ডিবি-দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কাজী হাবিবুল আউয়াল সিইসি ছিলেন। মগবাজারে যেখান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেটি মূলত তাঁর বাসা নয়। গোয়েন্দা তথ্য ছিল যে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন। সেখানে নজরদারির মধ্যেই তাঁকে ডিবি পুলিশের একটি দল গ্রেপ্তার করে। তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলায় অভিযোগে উল্লেখ করা হয়-২০২৪ সালের নির্বাচনে বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ না করা সত্ত্বেও নির্বাচনের আয়োজন এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করতে না পারা, শুধু আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত ডামি ক্যান্ডিডেট এবং জাতীয় পার্টিকে দিয়ে নির্বাচন করানো, এমনকি নির্বাচনের দিনে ভোটের পরিসংখ্যান নিয়ে দ্বিচারিতা করা। ভোটের পরিসংখ্যানসংক্রান্ত যে বিশ্লেষণ তা নিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দেওয়া, পরবর্তী সময়ে সাংবিধানিক পদে থেকে সংবিধান ও নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে যাঁরা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন তাঁদের গেজেট প্রকাশ করা।