কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌর টার্মিনাল সংলগ্ন গোলচত্ত্বর থেকে হলবাজার পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক। এটি এ উপজেলা ও পৌরবাসীর প্রধান সড়ক। সড়কের দুই ধারে গড়ে উঠেছে উপজেলার প্রধান বিপণী বিতানসহ হরেকরকম ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
তবে এসব প্রতিষ্ঠানে সামনে আবার সড়ক জুড়ে নিয়মিত বসে ভ্রাম্যমাণ তরিতরকারি, জামা-কাপড়, স্যান্ডেল, শরবত, ফল, মুখোরুচিসহ হরেকরকম দোকান। আবার অনেকেই ভ্যানসহ বিভিন্ন গাড়ি পার্কিং করছেন। এতে সড়ক সংকীর্ণ হয়ে প্রচন্ড যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে প্রতিদিনই জনদুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন পথচারীরা। ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনাও।
সেজন্য জনদুর্ভোগ কমাতে কুমারখালী শহরের প্রধান সড়কের অবৈধ দখল মুক্তকরণ, যানযাট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরানোর দাবিতে পদযাত্রা করেছেন সচেতন নাগরিকরা। মঙ্গলবার দুপুরে শহরের গোলচত্ত্বর এলাকা থেকে পদযাত্রাটি বের করা হয়। পরে স্টেশনবাজার, থানামোড়, গণমোড়, হলবাজার প্রদক্ষিণ করে পৌরসভা চত্বরে এসে শেষ হয়। এরপর সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে পৌরকর্তৃপক্ষের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
কাঙ্গাল হরিনাথ প্রেসক্লাবের আহবায়ক আতাউর রহমান সুজনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার কুমারখালী প্রতিনিধি মাহমুদ শরীফ, কুমারখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি লিপু খন্দকার, উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খান আতিকুর রহমান সবুজ, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্রনেতা আকাশ মাহমুদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, কুমারখালীর প্রধান সড়কের দুইপাশ দখল করে অসাধু ব্যক্তিরা ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা করছেন। এতে সড়ক সংকীর্ণ হয়ে যানযট সৃষ্টি হচ্ছে। বাড়ছে ভোগান্তি। ঘটছে ছোট বড় অসংখ্য দুর্ঘটনা। এছাড়াও অবৈধযানে করে নেওয়া হচ্ছে মাটি ও বালু। অতিদ্রুত সড়ক দখলমুক্ত ও অবৈধ যানবাহন চলা বন্ধ করা না হলে গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
সড়ক জুড়ে ব্যবসা বাণিজ্য করায় চরম জনদুর্ভোগের কথা স্বীকার করেছেন কুমারখালী পৌরসভার প্রধান সহকারী রাজু আহমেদ। তিনি বলেন, দ্রুতই উচ্ছেদ অভিযান করে সমস্যার সমাধান করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, জনস্বার্থে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ