গলের উভয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করে বিরল রেকর্ড গড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত। বাংলাদেশের প্রথম অধিনায়ক হিসেবে উভয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন তিনি। শুধু টাইগার অধিনায়ক নন, সেঞ্চুরি করেন দলের সবচেয়ে সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমও। দুজনের তিন সেঞ্চুরিতে দাপুটে ক্রিকেট খেলে ড্র করেছে বাংলাদেশ। গলের আত্মবিশ্বাস নিয়ে নাজমুল বাহিনী এখন কলম্বোয়। ২ টেস্ট ম্যাচ সিরিজের শেষটি আজ কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস গ্রাউন্ডে (এসসিজি) খেলবে দুই দল। গলে ড্র হওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে কলম্বোরটি সিরিজ মীমাংসার টেস্টে রূপ নিয়েছে। অনুশীলনে স্লিপ ফিল্ডিংয়ে আঙুলে ব্যথা পান টাইগার অধিনায়ক নাজমুল। গতকাল আঙুলে টেপ বেঁধেও হালকা অনুশীলন করেছেন। অবশ্য আজ শুরু টেস্টে খেলবেন অধিনায়ক নাজমুল। ফিরছেন সহকারী অধিনায়ক ও অফ স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজও। জ্বরের জন্য গলে খেলেননি মিরাজ। স্পিন অলরাউন্ডার ফেরায় একাদশ থেকে বাদ পড়বেন কে, অফ স্পিনার নাঈম হাসান, না ওপেনার এনামুল হক বিজয়? নাঈম দারুণ বোলিং করে দেশের বাইরে প্রথমবার ‘ফাইফার’ বা ৫ উইকেট নেন। বিজয় ব্যাটিংয়ে পুরোপুরি ব্যর্থ। প্রথম ইনিংসে শূন্য, দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ৪ রান। যদি কোনো কারনে বিজয় বাদ পড়েন, তাহলে কি তিন স্পিনার নিয়ে খেলবে টাইগাররা? সাদমান ইসলামের সঙ্গে ওপেন করবেন কে?
কলম্বোয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম সিংহলিজ স্পোর্টস গ্রাউন্ড (এসএসজি), প্রেমাদাসা ক্রিকেট গ্রাউন্ড (পিএসজি) ও পি সারা সারভাত্তামাই (পিএসএস)। তিন ভেন্যুতেই বাংলাদেশ টেস্ট খেলেছে। সিংহলিজ স্পোর্টস গ্রাউন্ডে ৩টি খেলে হেরেছে সবই। প্রেমাদাসাতেও হেরেছে দুই টেস্ট খেলে। পি সারা স্টেডিয়ামের রেকর্ড স্বপ্নের। কলম্বোর সবচেয়ে পুরোনো স্টেডিয়ামটিতে ২০১৭ সালে বাংলাদেশ নিজেদের শততম টেস্টটি জিতেছিল ৪ উইকেটে। প্রেমাদাসা বা খেত্তারামা স্টেডিয়ামে ২০০৫ সালে ৫ উইকেটে এবং ২০১৩ সালে ইনিংস ও ৯৬ রানে হেরেছিল টাইগাররা।
প্রেমাদাসায় ২০০১ সালে ইনিংস ও ১৩৭ রানে, ২০০২ সালে ২৮৮ রানে এবং ২০০৭ সালে ইনিংস ও ২৩৪ রানে হেরেছিল টাইগাররা। ১৮ বছর ফের সিংহলিজ গ্রাউন্ডে খেলবে নাজমুল বাহিনী। এ মাঠে ২০০১ সালে সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে সেঞ্চুরির বিরল রেকর্ড গড়েছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। দুই দেশ এখন পর্যন্ত ২৭ টেস্টে পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছে। বাংলাদেশের জয় একটি, ২০১৭ সালে এবং ড্র ৬টি।