আজ থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব দপ্তরে পূর্ণদিবস কর্মবিরতির কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। গত রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে দ্রুত অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এর আগে অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এনবিআর নিয়ে জারি করা অধ্যাদেশের প্রয়োজনীয় সংশোধন আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে করা হবে। এনবিআর বিলুপ্তি করে দুটি বিভাগ করার অধ্যাদেশ জারির প্রতিবাদে গতকাল বিকালে চার দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য সারা দেশের সব দপ্তরে পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ডাক দেয় শুল্ক-কর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচির ঘোষণা দেন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। এ সময় বক্তব্য দেন এনবিআরের উপকমিশনার আবদুল কাইয়ুম ও উপকর কমিশনার রইসুন নেসা। তারা জানান, সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে। আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা এবং ওষুধ ও জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম আমদানি কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবে।
দাবি আদায়ে গতকাল দিনভর রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনের নিচতলায় প্রধান ফটকের পাশে অবস্থান নেন বেশির ভাগ শুল্ক-কর কর্মকর্তা-কর্মচারী। বন্ধ থাকে প্রবেশের প্রধান দুই ফটক। ফলে এনবিআরের কার্যক্রম কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। একই চিত্র ছিল চট্টগ্রাম বন্দর, বেনাপোল, ভোমরা স্থলবন্দরসহ দেশের অন্যান্য শুল্ক স্টেশনেও। কয়েক দিন ধরে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এ আন্দোলন চলে। গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এনবিআর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারের একটি স্বতন্ত্র ও বিশেষায়িত বিভাগের মর্যাদায় উন্নীত করা হবে। বিসিএস (কাস্টমস ও এক্সাইজ) ও বিসিএস (কর) ক্যাডারের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে এনবিআর শক্তিশালী করা হবে। সেই সঙ্গে আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জারি করা অধ্যাদেশে প্রয়োজনীয় সব সংশোধনী আনা হবে।