গাইবান্ধার একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফুলছড়ি সরকারি ডিগ্রি কলেজ। নানান সংকটে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। শ্রেণিকক্ষের সংকট, কলেজ মাঠে জলাবদ্ধতা বড় সমস্যা। কলেজ সূত্রে জানা যায়, ১৯৯১ সালে ১ একর ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশ জমির ওপর ফুলছড়ি ডিগ্রি কলেজ স্থাপিত হয়। ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট সরকারীকরণ হয়। এ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২ হাজার ২০০-এর বেশি। এখানে শ্রেণিকক্ষের চরম সংকট রয়েছে। তুলনামূলক নিচু এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই কলেজপ্রাঙ্গণ তলিয়ে যায়। মূল ফটক থেকে শুরু করে প্রশাসনিক ভবন ও কয়েকটি শ্রেণিকক্ষ পর্যন্ত হাঁটুপানি জমে যায়। এতে শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়া দুরূহ হয়ে পড়ে। বর্ষাকালে এ পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নেয়, অনেক সময় ক্লাস বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থী তানিম আহম্মেদ, রুবেল মিয়া জানান, ‘জলাবদ্ধতার কারণে কলেজে আসা-যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। নোংরা পানিতে ডুবে থাকায় মশামাছির উপদ্রব বেড়ে যায় এবং পানিবাহিত রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে। কলেজের ড্রেনেজব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্বল। পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে আমাদের।’ শিক্ষক গোলাম মোস্তফা আকন্দ বলেন, ‘শিক্ষক-শিক্ষিকাদের শ্রেণিকক্ষে পৌঁছানোর জন্য পানি ভেঙে বা পানির মধ্য দিয়ে হেঁটে যেতে হচ্ছে। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ক্যাম্পাস বা ক্লাসরুমের আশপাশে পানি জমে যায়।’
এ ছাড়া পাঠদানের জন্য কক্ষসংকট রয়েছে। অনেক সময়ই খোলা আকাশের নিচে বা বারান্দায় ক্লাস নিতে বাধ্য হন শিক্ষকরা। বিজ্ঞান বিভাগের ব্যবহারিক ক্লাস পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত ল্যাবসুবিধা নেই। কলেজের মিনফা আক্তার, ঝিনুকসহ একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, ‘বসার জায়গা না থাকলে দাঁড়িয়ে ক্লাস করতে হয়। ঠিকমতো ক্লাসরুম না পাওয়ায় আমাদের লেখাপড়ার মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। সিলেবাস শেষ করাও কঠিন হয়ে পড়ছে। কমনরুমও নেই।’
ফুলছড়ি সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এস এম আশাদুল ইসলাম জানান, ‘আমরা সমস্যার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।