জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশের ১৮ কোটি মানুষই আমার। এই ১৮ কোটি মানুষকে যদি যথাযথভাবে সম্মান ও ভালোবাসা দিতে পারি, তাহলে তাদের সহযোগিতা পাওয়া যাবে নিশ্চিত। তবে আল্লাহ? তাআলার সহযোগিতা ছাড়া কেউ কোনোকিছু করতে পারবেন না। তিনি বলেন, সমাজে নারী-পুরুষ, ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে এমন একটা দেশ গড়তে চাই; যে দেশে মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণাগুণের ভিত্তিতে। কোয়ালিটি দেখে সমাজ তাকে যথাযোগ্য মর্যাদা দিতে বাধ্য হবে। গতকাল দিনব্যাপী মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে জামায়াতের কেন্দ্রীয় গণসংযোগের অংশ হিসেবে দাওয়াতি সভা ও অমুসলিমদের নিয়ে মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্বের অন্য দেশের উদাহরণ টানতে গিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষাজীবন চলাকালে আগেভাগে চাকরি করার নিয়োগ লেটার পাঠিয়ে দিয়ে বলে, আমার প্রতিষ্ঠান চাকরি দেবে যদি আপনি কাজ করতে চান। বাংলাদেশে এ রকম কোনো নিয়ম শোনা যায়নি। কারণ এ দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষার ওপর কারও বিশ্বাস নেই। সার্টিফিকেটের সঙ্গে শিক্ষার মিল নেই। তিনি বলেন, উন্নত বিশ্বে শুধু তার সিভিটা জমা নেবে। সিভি ঠিক থাকলে তার আর চাকরি আটকাবে না। জামায়াতে ইসলামী চায় মানুষ হিসেবে মানুষকে সম্মান দেওয়ার শিক্ষা, ভালোবাসার শিক্ষা এবং শিক্ষা সমাপ্তের পর তাদের হাতে কাজ তুলে দেওয়া। এই কাজটি আমরা করে যেতে চাই। সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলার আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান, মহানগরের আমির মো. ফখরুল ইসলাম, মৌলভীবাজার জেলার আমির ইঞ্জিনিয়ার সায়েদ আলী ও সেক্রেটারি মো. ইয়ামীর আলী। এ সময় জেলার নায়েবে আমির মাওলানা আবদুর রহমান, কুলাউড়া থানার ওসি মো. গোলাম আপছার, উপজেলার আমির সহকারী অধ্যাপক আবদুল মুন্তাজিম, নায়েবে আমির মো. জাকির হোসেন, সেক্রেটারি বেলাল আহমদ চৌধুরী, সাবেক উপজেলা আমির খন্দকার আবদুছ ছোবহান, নজরুল ইসলাম সুয়েব ও প্রভাষক হামিদ খান, জামায়াত নেতা রাজানুর রহিম ইফতেখার, পৌর সভাপতি রুহুল আমিন রইয়ুব ও সাধারণ সম্পাদক মনসুর আহমদ তালুকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া দুপুরে তিনি কুলাউড়া পৌরসভায় পৌঁছালে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন তাকে স্বাগত জানান এবং চা-চক্রে অংশগ্রহণ করেন।