বলিউড অভিনেত্রী জেরিন খান ফের এক বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে আলোচনায় এসেছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, নিজের ক্যারিয়ারে কিছু সিনেমায় জোর করে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করানো হয়েছিল তাকে, যা নিয়ে তিনি তখন ভীষণ অস্বস্তি ও মানসিক চাপে ভুগেছিলেন।
২০১০ সালে সলমান খানের বিপরীতে ‘বীর’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন জারিন। চেহারায় ক্যাটরিনা কাইফের সঙ্গে মিল থাকার কারণে এক সময় দর্শকদের দৃষ্টি কাড়েন তিনি। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বলিউডের অন্ধকার দিকও অনুভব করেন এই অভিনেত্রী।
জেরিন জানান, 'আমি অত্যন্ত রক্ষণশীল পরিবারে বড় হয়েছি। তাই কোনো সিনেমায় কাজ করার আগে অনেক ভাবি। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে এক সময় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, যখন একের পর এক অন্তরঙ্গ দৃশ্যের প্রস্তাব আসতে থাকে। প্রথমে চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে কিছু দৃশ্য মেনে নিলেও, পরে দেখলাম শুধু এই ধরনের চরিত্রেই আমায় কাস্ট করা হচ্ছে।'
বিশেষ করে ২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘হেট স্টোরি ৩’ সিনেমায় খ্যাতি পাওয়ার পর থেকেই, এমন দৃশ্যে কাজ করার চাপ আরও বেড়ে যায়। জেরিন জানান, তিনি এই ধরনের চরিত্রে নিজেকে আটকে রাখতে চাননি।
সবচেয়ে অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতা হয় ২০১৭ সালে ‘আকসর ২’ সিনেমার সময়। জেরিনের দাবি, ওই সিনেমার পরিচালক তাকে স্পষ্ট বলেছিলেন যে এতে কোনো অন্তরঙ্গ দৃশ্য থাকবে না। কিন্তু শুটিং শুরু হতেই প্রতিদিন তাকে চুম্বনের দৃশ্য করতে বলা হয়। শুধু তাই নয়, অস্বস্তিকর পোশাক পরতেও বাধ্য করা হয়েছিল তাকে।
তিনি বলেন, যখন বিষয়টা নিয়ে প্রশ্ন তুললাম, পরিচালক দায় ঝেড়ে ফেলে প্রযোজকের ওপর সবকিছু চাপিয়ে দেন।'
চাপের মুখে এক সময় মায়ের সঙ্গে কথা বলে সাহস পান তিনি। তার কথায়, 'মা পাশে না থাকলে হয়তো মানসিকভাবে ভেঙে পড়তাম। তখন কিছু বন্ধুও বলেছিল, আমি নাকি অতিরিক্ত ভাবছি, কিন্তু আমি জানতাম এটা স্বাভাবিক নয়।'
এই ঘটনার পর জেরিন অন্তরঙ্গ দৃশ্যভিত্তিক সিনেমায় কাজ কমিয়ে দেন এবং সচেতনভাবে স্ক্রিপ্ট বাছাই করা শুরু করেন।
বিডি প্রতিদিন/মুসা