বলিউডে ‘জিসম’ ছবির নাম উঠলেই প্রথমেই মনে পড়ে বিপাশা বসুর কথা। এই ছবি শুধু তাঁর ক্যারিয়ারে নয়, বলিউডে সাহসী গল্প বলার ক্ষেত্রেও এক মাইলফলক। ২০০৩ সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবিতে বিপাশার বিপরীতে ছিলেন জন আব্রাহাম। ছবিটি দুই তারকার ক্যারিয়ারেই নিয়ে আসে গুরুত্বপূর্ণ মোড়।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ৪৬ বছর বয়সি এই অভিনেত্রী জানান, ‘জিসম’ ছিল তাঁর জীবনে এক প্রকার জুয়া খেলা। সেই সময় ক্যারিয়ারের শীর্ষে ছিলেন বিপাশা। প্রচলিত বলিউড হিরোইনের গণ্ডির বাইরে গিয়ে একটি সাহসী এবং নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয়ের সিদ্ধান্ত সহজ ছিল না।
বিপাশা বলেন, “আমার চারপাশের সবাই এই চরিত্র করতে নিষেধ করেছিলেন। তাঁদের মতে, আমি যদি দর্শকের ঘৃণার পাত্রী হয়ে যাই, তা আমার কেরিয়ারের জন্য ক্ষতিকর হবে। কিন্তু আমি কারও কথা শুনিনি। চিত্রনাট্যটা এতটাই হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছিল যে, কাজটা করতেই মন থেকে রাজি হয়ে যাই।”
ছবিটির গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছিলেন মহেশ ভাট, পরিচালনায় ছিলেন অমিত সাক্সেনা। জন আব্রাহামের এটি ছিল প্রথম বলিউড ছবি। মুক্তির পর ‘জিসম’ বক্স অফিসে ভালো সাফল্য পায়, যদিও সমালোচক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়।
বিপাশা আরও বলেন, ‘জিসম’-এর চরিত্রটি আজও পপ কালচারের অংশ। বহু মানুষ আমার লুক থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ‘তামাটে ব্রঞ্জ লুক’ গ্রহণ করেছিলেন। ছবিটি বলিউডে একটি নতুন ধারা তৈরি করেছিল, যেখানে নায়িকাও নেতিবাচক হতে পারেন।
বিডি প্রতিদিন/মুসা