আব্দুন নূর সজল। যিনি মেধা অধ্যবসায় আর পরিশ্রমগুণে আজ সবার গুণমুগ্ধ। তাঁর হাস্যোজ্জ্বল চেহারা, সাবলীল সংলাপ আর বাস্তবঘন অভিনয়- দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে দীর্ঘ সময় ধরে। অভিনয়ে যেমন তিনি প্রেমিক চরিত্রে সাবলীল, তেমনি অ্যাকশন হিরো কিংবা নেতিবাচক চরিত্রেও দারুণ মূর্ত হয়ে ওঠেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল
নতুন একটি সিনেমায় কাজ করছেন। বিস্তারিত জানতে চাই।
শুটিং করছি অলরেডি। নয় দিন ধরে শুটিং চলছে। শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ীর ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকার বিভিন্ন লোকেশনে শুটিং হচ্ছে নতুন সিনেমা ‘শাপলা শালুক’-এর। তবে ছবিটির নাম ভবিষ্যতে পরিবর্তন হতে পারে। পরিচালনায় রয়েছেন রাশেদা আক্তার লাজুক। আমার বিপরীতে নায়িকা হিসেবে রয়েছেন শবনম বুবলী। আমরা প্রথমবারের মতো একসঙ্গে অভিনয় করছি।
শুটিং অভিজ্ঞতা কেমন?
অভিজ্ঞতা চমৎকার। নিরিবিলি ও মনোরম পরিবেশে কাজ করছি।
এই লোকেশনে আগে কখনো শুটিং করিনি।
সিনেমাটির গল্প কেমন? আর আপনার চরিত্র সম্পর্কে কী বলা যায়?
এটি একটি অ্যাকশন রোমান্টিক ও বাণিজ্যিক ঘরানার ছবি। যেখানে ক্ল্যাসিক ধাঁচের ছোঁয়াও থাকবে। আর ছবিটিতে আমার চরিত্রটি ভিন্ন রকমের। যেমনটা আমি করতে চাই। আমি এখন ‘পরাণ’, যেরকম চরিত্রে আগে অভিনয় করা হয়নি। কাজ করে ভালো লাগছে।
জ্বীন সিনেমায় অভিনয় নিয়ে প্রশংসিতও হয়েছেন...
সবার অনেক ভালো লেগেছে, আমার অভিনয়ের প্রশংসা করেছে সবাই। পাশাপাশি এই সিনেমায় নুসরাত ফারিয়ার সঙ্গে ‘কন্যা’ গানটি তো এখনো সবার মুখে মুখে। আসলে আমি মনে করি, আমার প্রতি আমার ভক্ত-দর্শকের ভালোবাসা ছিল, আছে এবং আমি বিশ্বাস করি থাকবেও। তবে কেন যেন এই সময়ে এসে অনুভব করলাম, আমাকে ঘিরে তাদের সুপ্ত ভালোলাগা ছিল। যখন যেখানে গিয়েছি কন্যা’র জয়ধ্বনি শুনেছি। এমনটা কিন্তু এর আগে হয়নি আমার সিনেমা জীবনে। এই যে ভালোবাসা, এই যে প্রাপ্তি আমি ভীষণ উপভোগ করছি। এই ভালোবাসা বুকে ধারণ করেই এগিয়ে যেতে চাই।
সিনেমা, নাটক বা ওয়েবে একজন অভিনেতার সফলতার পেছনের মূল রহস্য কী?
আমি মনে করি, একটি ভালো গল্পই একজন অভিনেতার প্রকৃত সফলতা এনে দিতে পারে। তাই স্ক্রিপ্ট বাছাইয়ে বরাবরই সচেতন আমি।
আপনার আরও কিছু সিনেমার খবর ছিল। সেগুলোর অগ্রগতি কত দূর?
এরই মধ্যে আরও দুটি সিনেমায় যুক্ত হয়েছি। একটির নাম ‘জীবনের খেলা’। রোমান্টিক-অ্যাকশনধর্মী ছবিটি পরিচালনা করছেন ওয়ালিদ আহমেদ এবং এতে আমার বিপরীতে অভিনয় করছেন সিন্ডি রোলিং। আরেকটির নাম ‘ঋতুকামিনী’, যেখানে আমার বিপরীতে রয়েছেন অধরা খান। এটি পরিচালনা করছেন জাহিদ হোসেন। এটির কিছু কাজ এখনো বাকি রয়েছে।
ওটিটিতে কাজ করছেন নিয়মিত। এ নিয়ে মন্তব্য কী?
ওটিটি প্ল্যাটফর্মের উত্থানে অভিনয় শিল্পীদের জন্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে চ্যালেঞ্জও অনুভব করি। কারণ দর্শকদের রুচি ও চাহিদা প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। আসলে নতুন কিছু করার মধ্য থেকেই একজন শিল্পীর বেঁচে থাকা।
আপনার আগামীর প্রত্যাশা কী?
আমি অভিনয়কে ভালোবাসি। অভিনয়েই আজীবন পথ চলতে চাই। অভিনয়ের প্রতি নিষ্ঠা, পরিশ্রম এবং ভালোবাসা আগামীতেও আরও সমৃদ্ধ হবে- এমনটাই প্রত্যাশা করি।