বাংলা সংগীত জগতের জীবন্ত কিংবদন্তি নকীব খান। স্বাধীনতার পরপরই জন্মস্থান চট্টগ্রামে শুরু হয় তাঁর সংগীতের যাত্রা। বালার্ক ব্যান্ডের গায়ক, পিয়ানিস্ট ও শিল্পী হিসেবে তাঁর আত্মপ্রকাশ। ১৯৭৪ সালে যোগ দেন সোলসে। এ ব্যান্ডে প্রায় ১০ বছর ছিলেন নকীব খান। বাবা মারা যাওয়ার পর চট্টগ্রাম ছেড়ে চলে আসেন ঢাকায়। ১৯৮৫ সালে গড়ে তোলেন নিজের ব্যান্ড রেনেসাঁ। সেই থেকে রেনেসাঁ নিয়েই শ্রোতাদের ভালোবাসা কুড়িয়ে যাচ্ছেন নকীব খান। এ বছর সংগীত জীবনের ৫০ বছর পূর্ণ করেছেন তিনি। নকীব খানের ক্যারিয়ারের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজন করা হয় বিশেষ অনুষ্ঠানের। গতকাল রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে টেলিভিশন জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (টিজেএফবি)।
‘নকীব খান ফিফটি ইয়ারস সেলিব্রেশন’ শীর্ষক আয়োজনে উপস্থিত থেকে নকীব খানকে নিয়ে কথা বলেন সংগীত দুনিয়ার প্রখ্যাত শিল্পী, সংগীত পরিচালক ও গীতিকাররা। অনুষ্ঠানে নকীব খান তাঁর দীর্ঘ ক্যারিয়ারের পথচলা নিয়ে কথা বলেন। গেয়ে শোনান নিজের জনপ্রিয় কিছু গান। পাশাপাশি অন্য শিল্পীরাও তাঁর গান গেয়েছেন। নকীব খান বলেন, ‘গানের জগতে ৫০ বছর ধরে টিকে থাকা এবং মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেওয়াটা অনেক বড় ব্যাপার। গান দিয়ে আমি সেই জায়গাটা পেয়েছি। সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হচ্ছে, মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি, শ্রদ্ধা পেয়েছি। এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আমার কাছে আর কিছু নেই।’