আত্মহত্যা মহাপাপ, নৈতিক অপরাধ। অধিকাংশ দেশেই এর প্রচেষ্টা আইনত দণ্ডনীয়। কাজে-অবসরে, বিনোদনে-ব্যস্ততায়, স্বপ্নসাধনায়, জীবনকে উপভোগ ও উদ্যাপনই মানবধর্ম। জীবনের অপচয়, অপব্যবহার, বিনাশ মানুষের কাজ নয়। তবু নানা জটিল মেরূকরণে, হতাশাব্যর্থতা, অভাব-অসম্মান, ঋণ পরিশোধে অপারগতার গ্লানিজনিত অবসাদ, অনেক সময় মানুষকে আত্মহত্যার মুখে ঠেলে দেয়। দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে, ঋণের বোঝা বইতে না পেরে, দেশে আত্মহত্যার ঘটনা দিনদিন বাড়ছে। কেউ আবার পরিবারের সবাইকে হত্যা করে, নিজেও আত্মহত্যা করছেন। এ দেখে ঋণগ্রস্ত অন্য পরিবারও একই পথ বেছে নিচ্ছে। এই ভয়ংকর প্রবণতা জাতিকে ভয়াবহ বিষাদের মুখে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে। এ নিয়ে বিশেষ বিবেচনা সময়ের জরুরি দাবি। পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের এক-চতুর্থাংশ পরিবারকে মৌলিক চাহিদা মেটাতেই ঋণ করতে হয়। শহরের চেয়ে গ্রামের মানুষ এজন্য বেশি ঋণ করে। এ ঋণের বড় অংশই তারা নিয়ে থাকে বিভিন্ন এনজিও থেকে। গ্রামীণ অর্থনীতিতে কিছু ক্ষেত্রে তা অনেকের জন্য গলার কাঁটা হয়ে ওঠে। চড়া সুদ ও কিস্তির চাপে বহু পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। কিস্তি পরিশোধে অক্ষমতায় অপদস্থ হওয়ার দুর্বার মর্মবেদনা অনেককে ঠেলে দেয় সপরিবার মর্মান্তিক আত্মবিনাশে। প্রায়ই এমন মহাবেদনার সংবাদ শুনতে হচ্ছে। অতিসম্প্রতি সুদের টাকার দাবিতে লাশ দাফনে বাধা দেওয়ার এক অমানবিক ঘটনা ঘটেছে দামুড়হুড়ায়। এদিকে হঠাৎ টিসিবির ট্রাকসেল বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছে শহরের নিম্ন আয়ের মানুষ। ট্রাকের লাইনে প্রচুর সময় নষ্ট হলেও ভর্তুকি মূল্যে কিছু নিত্যপণ্য পেয়ে তারা উপকৃত হচ্ছিল। এখন তাদের দীর্ঘশ্বাস ভারী হচ্ছে। এসবের সমাধান কী? বিশেষজ্ঞদের অভিমত- এনজিওগুলোকে ক্ষুদ্রঋণ প্রদানের আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উদ্দেশ্য, পরিকল্পনা এবং তা বাস্তবায়নের সম্ভাব্যতা ও সক্ষমতা বিচার করে তবেই ঋণ দেওয়া উচিত। ঋণগ্রহীতার দায়িত্বকর্তব্য সম্পর্কে আগেই তাকে সম্যকভাবে অবহিত করা জরুরি। ঋণের কিস্তি সহনীয় এবং আদায়প্রক্রিয়া অবশ্যই সৌজন্যপূর্ণ ও মানবিক হতে হবে। এই বিষয়গুলো মনিটরিং করবে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও সংস্থা। মূল্যস্ফীতি কমিয়ে এবং কর্মসংস্থান ও মজুরি বাড়িয়ে ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে হবে। মৌলিক চাহিদা পূরণের ন্যূনতম ব্যবস্থা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। গলাকাটা এনজিও এবং ব্যক্তি বা সমষ্টির নিষ্ঠুর আচরণের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। আত্মহত্যায় প্ররোচনার এসব প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ শিকড় উৎপাটন চাই। জীবন অমূল্য। এটা বুঝতে এবং বোঝাতে হবে সবাইকে।
শিরোনাম
- ইউক্রেনের আরও দুটি গ্রাম দখলের দাবি রাশিয়ার
- জলবায়ু অর্থায়নের নামে ভয়াবহ ঋণের ফাঁদ
- চায়ের আড্ডায় টুকুর গণসংযোগ
- মোংলায় লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষের প্রচারণা
- সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযান, গ্রেফতার ১৭০০
- বরিশালের তিন অসহায় নারীর স্বামীকে রিকশা বিতরণ
- নারী কাবাডি বিশ্বকাপের ট্রফি উন্মোচন করলেন প্রধান উপদেষ্টা
- র্যাবের অভিযান টের পেয়ে সন্ত্রাসীর ছোড়া গুলি লাগলো গৃহবধূর বুকে
- রোহিঙ্গা ভোটার চিহ্নিত করতে মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ ইসির
- প্রেষণে জনবল নিয়োগে বাংলাদেশ ও কাতার সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর
- ভবিষ্যতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থাকবে না : আমিনুল
- গণতন্ত্র উত্তরণের পথ হলো সফল জাতীয় নির্বাচন : মান্না
- ‘হিংসার রাজনীতি করে শেখ হাসিনা বগুড়ার উন্নয়ন করেনি’
- তৃণমূল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান সেলিমের
- একটি দল ধর্মকে পুঁজি করে রাজনীতি করছে: তৃপ্তি
- নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোকাবিলা করতে হবে : মোশাররফ
- কুমিল্লা বোর্ডে ফেল থেকে পাশ ১০৮ জন
- আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন
- সোমবার সারা দেশে যানবাহন চলবে : পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন
- ব্রিতে নবান্ন উৎসব উদযাপিত
ঋণের দায়ে আত্মহত্যা
প্ররোচনার শিকড় উৎপাটন চাই
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর