চীনের সঙ্গে ব্যাবসায়িক লেনদেন আরো সহজ করতে বাংলাদেশে একটি পূর্ণাঙ্গ চীনা বাণিজ্যিক ব্যাংক প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। একই সঙ্গে চীনের প্রধান শহরগুলোতে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ নামে পোশাক বিক্রয়কেন্দ্র স্থাপনসহ ছয় দফা প্রস্তাব চীনা দূতাবাসের কাছে পেশ করেছে বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিসিসিসিআই)।
সোমবার ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে বিসিসিসিআই সভাপতি মো. খোরশেদ আলমের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল এসব প্রস্তাবনা উত্থাপন করে।
বিসিসিসিআই কর্তৃপক্ষের ছয় দফা সুপারিশে রয়েছে চীনের প্রধান শহরগুলোতে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ পোশাক বিক্রয়কেন্দ্র স্থাপন, শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, চীনা বেসরকারি খাতকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করা, বাংলাদেশে চীনা বাণিজ্যিক ব্যাংক প্রতিষ্ঠা, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পার্মানেন্ট ম্যাগনেটিক মোটর উৎপাদনে যৌথ উদ্যোগে কারখানা স্থাপন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) চীনা বিনিয়োগে উৎসাহ দেওয়া।
বিসিসিসিআই সভাপতি মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ ও চীনের বন্ধুত্ব সময়ের সঙ্গে আরো গভীর হয়েছে। পদ্মা সেতু, সড়ক ও যোগাযোগ অবকাঠামো, মোবাইল সংযোগ এবং বিদ্যুৎ খাতে চীনের সহায়তা দৃশ্যমান।’
তিনি জানান, ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডকে সরাসরি চীনা জনগণের কাছে পৌঁছাতে তারা চীনের প্রধান শহরগুলোতে প্রথম পর্যায়ে ২০টি গার্মেন্টস আউটলেট সেলস সেন্টার স্থাপনে সহায়তা কামনা করেছেন। ‘বাংলাদেশি পোশাক পণ্যের গুণমান বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত। অনেক আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড চীনা বাজারে বাংলাদেশের পোশাক উচ্চমূল্যে বিক্রি করছে। তাই আমরা চাই নিজেদের ব্র্যান্ডে বাজারে প্রবেশ করতে,’ বলেন তিনি।
খোরশেদ আলম আরো বলেন, ‘চীন আধুনিক প্রযুক্তিতে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ দেশ। শিক্ষা ও প্রযুক্তি বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের উদ্যোক্তা ও শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবেন। এতে দুই দেশের সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে।’
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, চীনে রপ্তানি ও বিনিয়োগ লেনদেন সহজ করতে বাংলাদেশে চীনা বাণিজ্যিক ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হলে আর্থিক প্রবাহ আরো দ্রুত ও নিরাপদ হবে।