বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ‘নির্বাচনের আগে গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দিতে হবে। কারণ আগামী নির্বাচন হতে হবে জুলাই সনদের ভিত্তিতে।’ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দাবিতে গতকাল জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। চব্বিশের শহীদদের রক্তে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না দিয়ে বেইমানি করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মামুনুল হক বলেন, ‘যে ছাত্র-জনতার রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতার মসনদে বসেছেন, এক বছর পার হওয়ার পরও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না করা সরকারের জন্য লজ্জার।’ রাষ্ট্রপতির আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির আহ্বান জানান খেলাফত মজলিসের আমির।
তিনি বলেন, ‘সব রাজনৈতিক পক্ষকে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। যারা চব্বিশের বিরোধিতা করবে তারাই বাহাত্তরের বাকশালি পক্ষের বলে বিবেচিত হবে।’ এ সময় ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটন ও পুনরায় ফ্যাসিবাদ জন্ম নেওয়ার পথ বন্ধ করা পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান মামুনুল হক। ১২ অক্টোবর প্রতিটি জেলায় ডিসি কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ শহরের ডিআইটি চত্বরে জেলা ও মহানগর খেলাফত মজলিস আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মামুনুল হক বলেছেন, ‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যেভাবে বাহাত্তরের বাকশালি সংবিধানের মাধ্যমে ছিনতাই করা হয়েছিল, সেভাবেই চব্বিশের গণ অভ্যুত্থানের চেতনা হাইজ্যাকের চেষ্টা চলছে। পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই-জুলাই বিপ্লবের চেতনা যদি কেউ বাইপাস করে আগামীর বাংলার রাজনীতির গতিপথ নির্ধারণ করতে চায়, তাহলে রাজপথে যুদ্ধ হবে।’ জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, শাপলা চত্বরে গণহত্যাসহ সব হত্যাকান্ডের বিচার, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ ও খেলাফত প্রতিষ্ঠার দাবিতে এ গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়। দলের নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি মাওলানা মামূনুর রশীদের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজী প্রমুখ।