হাসান নাওয়াজ যখন ফিরলেন ১১.৩ ওভারে পাকিস্তানের স্কোরবোর্ডে তখন ৫ উইকেটে ৮২ রান। দুর্দান্ত এক জুটিতে পাকিস্তানের লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন ফখর জামান ও মোহাম্মদ নাওয়াজ। ৯১ রানের জুটি গড়ার পাশাপাশি ফখর নিজে খেলেছেন ১০ চার ও ২ ছক্কায় ৪৪ বলে অপরাজিত ৭৭ রানের ইনিংস। প্রথম তিন ম্যাচে বড় রান না পাওয়া বাঁহাতি ব্যাটারকে প্রশংসা ভাসালেন ওমন ইনিংসে। সালমান আলী আঘা জানান, ফখর যে সম্মান প্রাপ্য মানুষ সেটা তাকে দেয় না।
২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেঞ্চুরি করে পাকিস্তানকে শিরোপা জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন ফখর। তবে কখনো চোটের কারণে ম্যাচ খেলতে পারেননি আবার কখনো দল থেকে বাদ পড়েছেন নানাবিধ কারণে। এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে ৮৬ ওয়ানডে, ১০১ টি-টোয়েন্টি ও তিন টেস্ট খেলা বাঁহাতি ব্যাটার যখনই সুযোগ পেয়েছেন দলের জয়ে অবদান রাখার চেষ্টা করেছেন।
প্রায় ৬ হাজারের কাছাকাছি রান করা ফখর সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সব ম্যাচে খেলতে পারেননি। চোটের কারণে এশিয়া কাপে খেলা নিয়েও শঙ্কা ছিল। যদিও দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠে এশিয়া কাপের পাশাপাশি ত্রিদেশীয় সিরিজেও খেলছেন তিনি। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে পাকিস্তান যখন বিপাকে তখন হাল ধরেন তিনি। ৭৭ রানের ইনিংস খেলে পাকিস্তানকে ফাইনালেও তুলেছেন ফখর।
ম্যাচ শেষে বাঁহাতি ব্যাটারের প্রশংসা করতে গিয়ে সালমান বলেন, ফখর যে সম্মান প্রাপ্য মানুষ তাকে সেটি দেয় না। গত ১০ বছর ধরে সে পাকিস্তানের একজন ম্যাচউইনার। আজকে (গত রাতে) বল অনেক বেশি বল ঘুরেছে। এটা মোটেও ১৭০ রানের উইকেট ছিল না। ফখর ও নাওয়াজকে কৃতিত্ব দেওয়া দরকার।
ফখর ও নাওয়াজের দুর্দান্ত জুটিতে ১৭১ রানের পুঁজি পাওয়ার পর পাকিস্তানকে জেতাতে বাকি কাজটা সেরেছেন বোলাররা। বিশেষ করে আবরার আহমেদ ছিলেন দুর্দান্ত। ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন ডানহাতি এই স্পিনার। মুহাম্মদ ওয়াসিম, আসিফ খান, রাহুল চোপড়া ও হার্শিত কৌশিকের উইকেট নিয়েছেন তিনি। এমন পারফরম্যান্সে হয়েছেন ম্যাচসেরাও।
৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে শাহীন শাহ আফ্রিদি নিয়েছেন একটি উইকেট। তাদের দুজনের বোলিংয়ের প্রশংসায় সালমান বলেন, ‘আবরার দুর্দান্ত একজন বোলার এবং ম্যাচউইনার। শাহীন যেভাবে বোলিং করেছে দুর্দান্ত। আমরা মাঠে এসেছি, কন্ডিশন পর্যবেক্ষণ করেছি এবং বোলারদের সেভাবেই ব্যবহার করেছি।’
বিডি প্রতিদিন/কেএ