দীর্ঘ ১৭ বছর পর মেহেরপুর জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৩০ আগস্ট) সকাল ১১টায় মেহেরপুর সরকারি কলেজ মাঠে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, খুলনা বিভাগ আহ্বায়ক ও সাবেক এমপি আমান উল্লাহ আমান।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাবেদ মাসুদ মিল্টন। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম এবং প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু।
সম্মেলনে আমান উল্লাহ আমান বলেন, “শেখ হাসিনা হাজারো ছাত্র-জনতার হত্যার ভয়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন। বাংলার মাটিতেই তার বিচার হবে।”
প্রধান অতিথি নার্গিস বেগম বলেন, “একক শক্তিতে ফ্যাসিবাদী সরকারকে উৎখাত সম্ভব নয়। ছাত্র আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গড়ে ওঠা গণআন্দোলনে কৌশলগত নেতৃত্ব দিয়েছেন তারেক রহমান। বিএনপি চায় স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হোক।” তিনি আরও বলেন, “আন্দোলনে শহীদ হওয়া ছয় শতাধিক মানুষ কেবল সংখ্যা নয়, বরং একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার প্রতীক।”
অন্যদিকে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, “তারেক রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ৪৪টি রাজনৈতিক দল আন্দোলনে অংশ নেয় শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত করতে।” তিনি সাম্প্রতিক ছাত্রনেতাদের ওপর হামলার নিন্দা জানান।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসানের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফয়েজ মোহাম্মদ প্রমুখ।
কাউন্সিল শেষে জাবেদ মাসুদ মিল্টনকে সভাপতি এবং অ্যাডভোকেট কামরুল হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে মেহেরপুর জেলা বিএনপির নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/আশিক