ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে শিপন ও ইয়াছিন হত্যার ঘটনার পাল্টা মামলায় আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাতে র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন— স্থানীয় বড়িকান্দি গ্রামের মো. মালন মিয়ার ছেলে আতিকুর রহমান হৃদয় (২৮), নুরজাহানপুর গ্রামের আনোয়ারুল মিয়ার ছেলে সাইমন (২০) ও থোল্লাকান্দি গ্রামের মো. আমির মিয়ার ছেলে মো. বাবলু মিয়া (২০)।
র্যাব-৯ ও পুলিশ সূত্র জানায়, জেলার নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের গণিশাহ মাজার এলাকায় মাদকের আধিপত্য নিয়ে থোল্লাকান্দি গ্রামের রিফাত ও নূরজাহানপুর গ্রামের শিপনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।
গত ১ নভেম্বর রাতে ওই বিরোধের জের ধরে রিফাত বাহিনীর সন্ত্রাসী হামলায় শিপন ও ইয়াছিন গুলিবিদ্ধ হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজন মারা যান। এ ঘটনার পর নিহত শিপনের বাবা কুখ্যাত মনেক ডাকাতের বিক্ষুব্ধ লোকজন পাল্টা হামলা চালিয়ে থোল্লাকান্দি গ্রামের এমরান মাস্টারের অফিসে ব্যাপক হামলা চালিয়ে ওই মাস্টারকেও গুলি করে। এতে গুলিবিদ্ধ এমরান মাস্টার গুরুতর আহত হন।
এ বিষয়ে র্যাব-৯ সিপিসি-১ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. নুরনবী বলেন, পাল্টাপাল্টি এ হামলার ঘটনায় নবীনগর থানায় দুটি পৃথক মামলা হয়। ইতোমধ্যে একটি মামলায় (হত্যা) গত ১০ নভেম্বর র্যাবের বিশেষ অভিযানে অস্ত্রসহ দুজনকে এবং পরে পুলিশ আরো দুজনসহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করে।
তিনি জানান, গুলিবিদ্ধ এমরান মাস্টার আহত হওয়ার ঘটনায় রুজু হওয়া পাল্টা অপর মামলায় বুধবার তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীনূর ইসলাম বলেন, জোড়া খুনের ঘটনায় থানায় পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা হয়েছে। হত্যা মামলায় চারজনের পর বুধবার পাল্টা মামলায় আরো তিনজনসহ মোট সাতজন গ্রেফতার হলেন।
গ্রেফতারকৃত তিনজনকে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।
বিডি-প্রতিদিন/তানিয়া