চট্টগ্রামভিত্তিক জাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড সংযুক্ত আরব আমিরাতে একসঙ্গে তিনটি ল্যান্ডিং ক্রাফট জাহাজ রপ্তানি করেছে।
বৃহস্পতিবার ক্রেতা প্রতিষ্ঠান মারওয়ান শিপিং লিমিটেডের কর্মকর্তাদের কাছে ‘মায়া’, ‘এমি’ ও ‘মুনা’ নামের জাহাজ তিনটি হস্তান্তর করা হয়। ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী আবদুল্লাহ আলহামৌদি। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবদুর রহিম খান।
অনুষ্ঠানে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে একক রপ্তানি পণ্যের ওপর নির্ভরশীল। আমাদের ভিন্ন রপ্তানি পণ্য ও নতুন রপ্তানি গন্তব্যের দিকে অগ্রসর হওয়া উচিত। জাহাজ নির্মাণশিল্প শ্রমঘন ও উচ্চ প্রযুক্তির ভারী শিল্প। জাহাজের মতো উচ্চমূল্যের একক পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব, যা দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে। এতে বহির্বিশ্বে ইতিবাচক ভাবমূর্তিও তৈরি হবে।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন সোহেল হাসান জানান, ২০২৩ সালে ওয়েস্টার্ন মেরিন সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক মারওয়ান শিপিং লিমিটেডের সঙ্গে আটটি জাহাজ নির্মাণের চুক্তি করে। এসবের মধ্যে রয়েছে দুটি টাগবোট, চারটি ল্যান্ডিং ক্রাফট ও দুটি ট্যাংকার। চুক্তির আওতায় একটি ল্যান্ডিং ক্রাফট ও দুটি টাগবোটসহ তিনটি জাহাজ আগেই রপ্তানি করা হয়েছিল। সর্বশেষ আরও তিনটি ল্যান্ডিং ক্রাফট হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি দুই জাহাজ নির্মাণ শেষে আগামী বছর হস্তান্তর করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৭ সালে মারওয়ান শিপিংয়ের কাছে প্রথম জাহাজ রপ্তানি করে ওয়েস্টার্ন মেরিন। এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি ১১টি দেশে ৩৬টি জাহাজ রপ্তানি করেছে, যার বাজারমূল্য ১৩৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি।
বিডি-প্রতিদিন/মাইনুল