যশোরের বেনাপোলের ভবেরবেড় গ্রামের যুবদল কর্মী পলাশ নিখোঁজ হওয়ার দশ বছর পর অপহরণ ও গুমের অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল রবিবার পলাশের ভাই মুরাদ হোসেন যশোরের আমলি আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় দুইজন সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন—লক্ষণপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কামাল হোসেন ভূঁইয়া, তার ছেলে পিন্টু ভূঁইয়া, ছোট ভাই কবির হোসেন; বাহাদুরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান, তার ভাই আসানুর রহমান আশা; বেনাপোলের শামসের ছেলে মিজাক এবং চৌগাছার কামাল উদ্দিন।
আদালতে দায়ের করা মামলায় বাদী মুরাদ হোসেন অভিযোগ করেন, তার ভাই পলাশ বেনাপোল যুবদলের কর্মী ছিলেন। রাজনৈতিক বিরোধের কারণে আসামিরা তাকে বিভিন্ন সময় হত্যার হুমকি দিতেন। ২০১৫ সালের ১০ জুন আসামি মিজাক ও পিন্টু পলাশকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। পরে রাত ১০টার দিকে তার স্ত্রী পলাশের মোবাইল বন্ধ পান এবং বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে আর খুঁজে পাননি।
ঘটনার দুই দিন পর, ২০১৫ সালের ১২ অক্টোবর, পলাশের স্ত্রী বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার চেষ্টা করলেও তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তা আমলে নেননি এবং কোনো তদন্তও শুরু হয়নি।
আসামিদের ভয়ে দীর্ঘদিন মামলা করতে না পারায় এখন আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন বলে মুরাদ হোসেন মামলার আর্জিতে উল্লেখ করেন।
বিডি-প্রতিদিন/জামশেদ