সেপ্টেম্বর মাস অর্থাৎ শরতকালে রংপুর অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সাধারণত ৩১ থেকে ৩৩ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। দুপুরে গরম ভোররাতে হালকা শীত অনুভূত হত। এই নিয়মে চলে আসছিল প্রকৃতি। কিন্তু এবার প্রকৃতি ক্ষেপেছে।
রংপুরে গত কয়েকদিন থেকে তাপমাত্রা বাড়ছে। ক্রমেই তা অসহনীয় হয়ে উঠছে। শুক্রবার বেলা ৩ টায় রংপুরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৭ ডিড়্রী সেলসিয়াস। আবহাওয়াবিদদের ভাষায় এটি মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে। এসময় এমন তাপমাত্রা সাথে পরিচিত নয় এই অঞ্চলের মানুষ। গত ৩০ বছরের অশ্বিন মাসে এমন তাপমাত্রা দেখা যায়নি। এমনটা জানাগেছে আবহাওয়া অফিস ও প্রবীণদের সাথে কথা বলে। কয়েকদিনের হালকা ও মাঝারি বৃষ্টির পর রংপুরসহ আশপাশ এলাকার প্রকৃতি রুক্ষ হয়ে উঠায় জনজীবনে অস্বস্থি নেমে এসেছে। সেই সাথে প্রকৃতিতে পড়ছে নেতিবাচক প্রভাব।
রংপুর আবহওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বেলা ৩ টায় রংপুর এবং আশপাশ এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা কাটা ৩৭ ডিগ্রীতে ছুঁই ছুঁই করছিল। বৃহস্পতিবার একই সময়ে তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বুধবার তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রীর ওপরে। ফলে প্রচন্ড গরমে হাসফাস উঠেছে জনজীবনসহ প্রর্ণীকূলেও।আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে এমন আবহাওয়া গত কয়েক বছরে দেখা যায়নি।
জিএলরায় রোডের প্রবীণ ব্যক্তি আলী হোসেন বলেন আশ্বিন মাসে এত গরম গত ৩০ বছরে দেখিনি। এটি ভাল লক্ষণ নয়।
এদিকে নগর ঘুরে দেখা গেছে দুর্গাপূজা উপলক্ষে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছেন। কিন্তু প্রচন্ড তাপদাহের কারণে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ক্রেতার সমাগম ছিল একেবারে কম। ব্যবসায়ীদের হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে।
নগরীর বস্ত্র ব্যবসায়ী সামছুজোহা ডিএম বলেন, গরমের কারণে দিনের বেলা তেমন একটা ক্রেতা আনেনি। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন সন্ধ্যার পরে ক্রেতার সমাগম বাড়তে পারে।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিহার রহমান বলেন, সেপ্টেম্বর মাসে সাধরণত এমন তাপমাত্রা দেখা যায়না। জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবে এমনটা হচ্ছে। এসময় তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়া মানে অস্বাভাবিক আবহাওয়া। বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এমন আবহাওয়া দেখা যায়নি। কত বছর পরে এমন আবহাওয়া হল এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন পরিসংখ্যান না দেখে বলা যাবে না। তবে স্থানীয় প্রবীণদের মতে গত ২৫/৩০ বছরে সেপ্টেম্বরে এমন আবহাওয়া দেখা যায়নি।
বিডি প্রতিদিন/এএম