উজানে ভারতের সিকিম প্রদেশে টানা ভারি থেকে অতি-ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে রংপুরে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। বুধবার দুপুরে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছিল। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীপাড়ের মানুষের কপালে চিন্তার ছাপ পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুর ১২টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানির প্রবাহ ছিল ২০ দশমিক ১৫ সেন্টি মিটার। ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা দরা হয় ২৯ দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার। একই সময়ে ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ ছিল ৫২ সেন্টিমিটার। ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ধরা হয় ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার।
তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রংপুরের গঙ্গচড়া ও কাউনিয়া উপজেলায় বাসিন্দাদের মাঝে বন্যা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। কাউনিয়া উপজেলায় তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছায়। এতে করে উপজেলার বালাপাড়া, শহীদবাগ ও টেপামধুপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমায় পৌঁছানোর পর কাউনিয়া পয়েন্টে দুপুর ১২টায় নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি ক্রমেই উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। এতে এসব এলাকার কয়েক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ায় মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। বালাপাড়া ও টেপামধুপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে গেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
হরিশচর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ মমতাজ আলী জানান, রাত থেকেই আমাদের এলাকায় কয়েকটি বাড়িতে পানি উঠেছে। নদীতে পানি বাড়লে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে এখানকার মানুষ ক্ষতির মুখে পড়বে।
তালুক সাহাবাজ গ্রামের বাসিন্দা আলমগীর হোসেন বলেন, নদীর তীরবর্তী এলাকায় পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এখনো তেমন ক্ষতি না হলেও পানি বাড়লে ফসল ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানা গেছে।
কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মহিদুল হক বলেন, পানি কমতে শুরু করেছে। তবে বন্যা হলে আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ