আগামী দিনগুলোতে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার শঙ্কায় বাড়তি সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আজ বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক এস এম তোফায়েল আহমাদের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী দিনগুলোতে সাইবার হামলায় রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো (সিআইআই), ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবা এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে।
বিভিন্ন সূত্র থেকে দেশের ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান সাইবার হামলার সম্ভাবনার বিষয়ে জানা গেছে। ছোট বা মাঝারি ধরনের সাইবার হামলা ঠেকাতে এসব প্রতিষ্ঠানকে পূর্বপ্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সকল ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সকল সার্ভার, ডাটাবেইস এবং সিস্টেমের প্যাচ আপডেট করার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
পাশাপাশি অপ্রয়োজনীয় পোর্টাল বন্ধ রাখা, লিস্ট প্রিভিলেইজড এক্সেস নিশ্চিত করা, গুরুত্বনুসারে থ্রি-টু-ওয়ান কৌশল অনুযায়ী ডাটা ব্যাকআপ এবং রিস্টোর করা, গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেমে মাল্টি ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (এমএফএ) চালু করার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আইটি সিস্টেমে কোনো অসামঞ্জস্যতা চোখে পড়লে দ্রুত সময়ের মধ্যে সিকিউরিটি ইনফরমেশন এবং ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট (এসআইইএম) এবং নেটওয়ার্ক ইন্ট্রিউশন ডিডেটকশনসহ (এনআইডিএস) অন্যান্যসব নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সাইবার হুমকি শনাক্ত ও প্রতিরোধে এন্ডপয়েন্ট ডিটেকশন অ্যান্ড রেসপন্স অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করার পাশাপশি নিয়মিত থ্রেট সিগনেচার আপডেট করার পরামর্শও দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপরেও যদি সাইবার হামলার হতো ঘটনা ঘটে তখন দ্রুত সময়ের মধ্যে কীভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়, সেজন্য আইটি টিমকে সার্বক্ষণিক সজাগ রাখার ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে।
সিস্টেমে সন্দেহজনক লগইন, অনুনোমদিত ফাইল বা ডাটা পরিবর্তন হলে সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করতে হবে। এছাড়া ব্যাংকগুলোকে এক্সটার্নাল সংযোগ বিশেষভাবে মনিটর করতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পরামর্শ দিয়েছে, রিমোট এক্সেস, ভিপিএন এবং প্রিভিলেজ অ্যাকাউন্ট রিভিউ এবং সীমাবদ্ধ করার।
এখন থেকে ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে পর্যাপ্ত জনবলের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা সিকিউরিটি অপারেশন সেন্টার মনিটরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সিস্টেম কাঠামো চলমান রাখতে ফলব্যাক প্ল্যানের ওপর জোর দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক; বিজনেস কন্টিনিউটি প্ল্যান (বিসিপি) এবং ডিজাস্টার রিকোভারি প্ল্যান (ডিআরপি) নিয়মিত হালনাগাদের পরামর্শ বাংলাদেশ ব্যাংকের।
সূত্র : বাসস, ইউএনবি
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ