প্রগতিশীল আন্দোরনের নেতা ও কারমাইকেল কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো: আব্দুল ওয়াহেদ মিঞাসহ নিরপরাধ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ‘হয়রানিমূলক’ মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন বাম গণতান্ত্রিক জোট ও বাংলাদেশ জাসদের রংপুর জেলা ও মহানগর শাখা। এর আগে রংপুর প্রেসক্লাব চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। বিক্ষোভ মিছিল নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কাচারীবাজারে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
এসময় বক্তারা হয়রানিমূলক মামলা থেকে তদন্তের মাধ্যমে নিরপরাধ ব্যক্তিদেরকে অব্যাহতি দেয়া ও প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদেরকে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবি জানান। সেই সাথে তদন্ত সাপেক্ষে দোষী সাব্যন্ত না হওয়া পর্যন্ত কোনো ব্যক্তিকে মামলায় আসামি হিসেবে এজাহারভূক্ত ও গ্রেফতার করা যাবে না বলে আহবান জানান।
বাম গণতান্ত্রিক জোট রংপুরের সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন বাবলুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি জেলার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড শাহাদত হোসেন, বাসদ রংপুরের আহবায়ক কমরেড আব্দুল কুদ্দুস, জাসদ রংপুর জেলার সভাপতি শাহীনুর রহমান বাদল, বাংলাদেশ জাসদ মহানগর সভাপতি গৌতম রায়, সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহম্মেদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল, রংপুরের সদস্য সচিব আব্দুল মমিন, মার্কসবাদী সদস্য সচিব আহসানুল আরেফিন তিতু, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, রংপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক কাফি সরকার প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে দেশব্যাপী সংঘটিত ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ-অভ্যুত্থান ছিল একটি স্বতঃস্ফূর্ত ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন। এই আন্দোলনের পেছনে ছিল ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের অবসান এবং শোষণ-বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনের সংগ্রাম। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল সারাদেশে নিরপরাধ ও সম্মানিত নাগরিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। সেই ধারাবাহিকতায় মহানগর তাজহাট থানায় দায়েরকৃত একটি হয়রানিমূলক মামলায় কারমাইকেল কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ এবং তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি রংপুরের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মো: আব্দুল ওয়াহেদ মিঞাকে আসামি করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল