নীলফামারীর সৈয়দপুরের বিভিন্ন স্থানে কুরবানির পশু জবাই করাসহ মাংস কাটতে গিয়ে আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক মানুষ। ঈদের দিন শনিবার সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরি বিভাগের রেজিস্টার বই (রোগীর তথ্যবই) থেকে এ তথ্য মিলেছে।
আহতদের বেশির ভাগই হাত-পায়ের আঙ্গুলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে গিয়ে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই হাসপাতালে না গিয়ে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে গরুর হাড় কাটতে গিয়ে নাজমুল হক নামের এক ব্যক্তির বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল মাংস কাটার চাপাতির কোপে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
জানা যায়, পবিত্র ঈদুল আজহার দিন উপজেলার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় অসংখ্য কুরবানির পশু জবাই করা হয়েছে। এসব পশু জবাই ও পশুর মাংস কাটতে গিয়ে মৌসুমি কিছু কসাই ও পরিবারের সদস্যদের পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে তাদের কারো হাতে, কারো পায়ে ধারাল ছুরির আঘাতে আহত হয়। এতে সৈয়দপুর উপজেলায় অর্ধ শতাধিক আহত হয়। এদের মধ্যে স্থানীয় ১০০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ৩৯ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আহতদের মধ্যে শহরের কয়ানিজপাড়ার মাসুম মিয়া বলেন, কাঠের গুড়িতে মাংস রেখে কাটার সময় পায়ে কোপ লাগে। পরে পরিবারের লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তার পায়ে সেলাই করা হয়েছে।
সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মো. হাইয়ুল কবির বলেন, ঈদের দিন সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ৩৯জন রোগী হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এসে চিকিৎসা নিয়েছেন। তারা সবাই কুরবানির মাংস কাটতে গিয়ে আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজনের আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ