মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে অবস্থানরত একটি জাহাজে ৫০ লাখ টাকার মালামাল ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ৩ জনকে রিমান্ডে এনেছে পুলিশ। এদিকে লুণ্ঠিত মালামালের আংশিক উদ্ধার করা হলেও খোঁয়া যাওয়া বাকি মালামাল এখনও উদ্ধার করা যায়নি। অপরদিকে ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য ডাকাত সদস্যদের আটক করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গত সোমবার ভোর রাতে পশুর চ্যানেলে অবস্থানরত ওই জাহাজে সশস্ত্র ডাকাতদল হানা দিয়ে নাবিকদের বেঁধে নগদ টাকা, মোবাইলসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে। পরে কোস্টগার্ড অভিযান চালিয়ে জাহাজটিতে ডাকাতি হওয়া মালামালের আংশিক উদ্ধার করে। এছাড়া ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই জাহাজের চীফ ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল হক, ডাকাতিতে অংশগ্রহণকারী স্থানীয় কানাইনগরের বাসিন্দা সুমন হাওলাদার ও ডাকাতির ঘটনার গডফাদার এবং দস্যুদের পুঁজি সরবরাহকারী মোংলা মাছ বাজারের সাবেক সভাপতি অলিয়ার রহমানের ছেলে সুমন হোসেনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
পরে এ ঘটনায় ওই জাহাজের ডেপুটি ম্যানেজার জাসরিদ হাসান রিফাত বাদী হয়ে আটক তিনজনসহ অজ্ঞাতনামা আরো অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনকে আসামি করে মোংলা থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোংলার চাঁদপাই নৌ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ইকরামুল হক হালদার জানান, ডাকাতির ঘটনার ক্লু উদঘাটন, ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও লুট হওয়া বাকি মালামাল উদ্ধারের জন্য গ্রেপ্তারকৃতদের রিমান্ডে আনা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে সিরাজুল হক ও সুমন হাওলাদারকে একদিন ও ডাকাতিতে পুঁজি সরবরাহকারী সুমন হোসেনকে দুই দিনের রিমান্ডে আনা হয়। রিমান্ডে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা নিজেদের ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে নানা তথ্য প্রদান করেছে। ঘটনার সাথে অন্য কারা জড়িত ও লুন্ঠিত বাকি মালামাল কোথায় রয়েছে জিজ্ঞাসাবাদে তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, লুট হওয়া বাকি আরো প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার ও ঘটনায় জড়িত ডাকাত দলের অপর সদস্যদের আটকে পুলিশ ইতিমধ্যে তৎপরতা শুরু করেছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল