বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের ঘুষ-দুর্নীতি ও কয়েকজন শিক্ষক নেতার চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করায় সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার হাতে একজন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী ব্যক্তি উপজেলার শ্যামপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. সাফায়েত হোসেন। এ ঘটনার পর তিনি শনিবার পুনরায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। যার অনুলিপি ডাকযোগে খুলনা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপ-পরিচালক বরাবরে পাঠানো হয়েছে।
সাফায়েত হোসেনের অভিযোগপত্রে জানা গেছে, গত ২৯ এপ্রিল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে চিতলমারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ শিক্ষা অফিসের ঘুষ-দুর্নীতি ও কয়েকজন শিক্ষক নেতার চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে একটি লিখিত আবেদন করেন তিনি। এতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অচ্যুতানন্দ দাস, সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানস কুমার তালুকদার, অফিসের ক্লার্ক ও কয়েকজন শিক্ষক নেতা তার উপর ক্ষিপ্ত হয়।
ফলে গত ১৮ মে তিনি শিক্ষা অফিসে ল্যাপটপ আনতে গেলে সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানস কুমার তালুকদার তাকে বলেন, আপনি সাব ক্লাস্টারের সম্মানী পাবেন না। আমি আপনার স্বাক্ষর কেটে দিয়েছি। স্বাক্ষর কাটার কারণ জানতে চাইলে তিনি শিক্ষক সাফায়েতকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে অফিস থেকে বের করে দেন। শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার পর এখন তাকে এ উপজেলা থেকে বদলি করার ষড়যন্ত্র করছে বলেও জানান তিনি।
লাঞ্ছিত করার কথা অস্বীকার করে চিতলমারী উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানস কুমার তালুকদার বলেন, আমি তার বিরুদ্ধে শোকজ করায়, সে আমাদের অফিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। আমার নিরাপত্তার স্বার্থে থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে আমার অভিযোগের অনুলিপি দিয়ে রেখেছি।
ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে চিতলমারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অচ্যুতানন্দ দাস বলেন, আমাদের অফিসে কোনো ঘুষ-দুর্নীতি চলে না। কেউ শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেনি।
বাপগেরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসরিন আকতার বলেন, শিক্ষক মো. সাফায়েত হোসেনের দুইবার করা লিখিত অভিযোগ আমি পেয়েছি। তার করা অভিযোগের তদন্ত চলছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই