মাদারীপুরে যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুই শিশুসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রাজৈর উপজেলার বৌলগ্রাম নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় মহাসড়কে প্রায় ৩ কিলোমিটার পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়। ঘণ্টাব্যাপী বন্ধ থাকে যানবাহন চলাচল। পরে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট বন্দর থেকে মাদারীপুর যাচ্ছিল রাহমা ক্লাসিক নামে একটি লোকাল যাত্রীবাহী বাস। পথিমধ্যে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বৌলগ্রাম এলাকায় আসলে বরিশাল থেকে আসা ঢাকাগামী একটি মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। এ ঘটনায় দুই শিশুসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখান থেকে দুইজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দুর্ঘটনার পর মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে প্রায় ৩ কিলোমিটার পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।
গুরুতর আহতরা হলেন-পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার সাকুর শিকদারের স্ত্রী তনু বেগম (৩০), তার শিশু মেয়ে সাদিকা (৮), শিশু ছেলে সারাব (৩), তার মামা সোহাগ (৩৫), একই উপজেলার মিজান (৩৮), বরিশাল সদরের কবির হোসেন (৬০), আজিজ (৫৫), কবির (৪৫), মাইক্রোবাস চালক কুমিল্লার মজিবর (৫০)। এদের সকলকে রাজৈর থেকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে টেকেরহাট ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লিডার মো. ইসমাইল জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে মাইক্রোবাস চালককে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে রাজৈর হাসপাতালে নিয়ে আসি। বাকিদের আগেই উদ্ধার করে স্থানীয়রা হাসপাতালে আনে।
মোস্তফাপুর হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সারজিন ফরহাদ জানান, ঢাকাগামী একটি মাইক্রোবাস ও মাদারীপুরগামী একটি লোকাল বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসে থাকা চালকসহ যাত্রীরা বেশি আহত হয়। তবে মাইক্রোবাস চালককে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে রাজৈর হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বর্তমানে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই