বগুড়ার বাজারে চালের দাম না বাড়লেও সব ধরণের সবজির দাম বেড়েই চলছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কিছু কিছু সবজির কেজি প্রতি দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। এতে করে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ। বাজারে সবজির দাম এত বেশি ছিল না বলে জানান ক্রেতারা। তাদের দাবি, ঈদের পর থেকেই শাকসবজির দাম বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, কয়েকদিন ধরে বগুড়ায় প্রচণ্ড রোদে তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। এতে করে কিছু এলাকায় কৃষকের ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে পাইকারি বাজারে সবজির সরবরাহ কমে গেছে। সবজির বাজারে ওঠানামায় ক্রেতাদের দুরাবস্থার পাশাপাশি বিক্রেতারাও সংকটে রয়েছেন।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বগুড়ার রাজাবাজার, ফতেহ আলী বাজার, কলোনী, খান্দার ও বকশি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আলু মানভেদে প্রতি কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পটল ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, তরি ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, আয়খঞ্জন ১৬০ টাকা, আদা ১২০ টাকা, রসুন ১৬০ টাকা এবং সজনা ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কিছু কিছু সবজি ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। এছাড়া শসা ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ।
অপরদিকে বাজারগুলোতে প্রতি কেজি বিআর-২৮ চাল ৬৪ থেকে ৬৫, বিআর-৪৯ চাল ৬০ থেকে ৬২, রঞ্জিত ৫৫ থেকে ৫৬, কাটারিভোগ ৭২ থেকে ৭৬, নাজিরশাইল ও মিনিকেট চাল ৮৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। চিনি প্রতি কেজি ১২০ এবং লাল চিনি ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হালি ফার্ম ডিম ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৪২ টাকা, ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, ককরেল মুরগি ২৬০ টাকা এবং দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫৮০ টাকায়। খাসির মাংসের কেজি এক হাজার এবং গরুর মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। এদিন এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৯০০ টাকায়, দুই থেকে আড়াই কেজি ওজনের কাতল মাছ প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, এক কেজি ওজনের রুই মাছ ২৫০ টাকা এবং আড়াই থেকে তিন কেজি ওজনের সিলভার কার্প মাছ ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
শহরের ফতেহ আলী বাজারের মামা-ভাগ্নে চাইনিজ ভেজিটেবলের স্বত্বাধিকারী মোঃ খোকন মিয়া জানান, পাইকারি বাজারে সবজির দাম চড়া। গত কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড রোদে সবজির সরবরাহ কমে গেছে। দাম বাড়ার ফলে বেচাকেনাও কম হচ্ছে। মানুষ এখন প্রয়োজনের বেশি সবজি কিনছেন না।
বাজারে সবজি কিনতে আসা মোঃ মন্টু মিয়া জানান, সবজির দাম বাড়ায় আবার মানুষের পকেটে চাপ পড়ছে। কদিন আগেও এসব সবজির দাম কম ছিল। তিনি বলেন, বাজারে প্রতিদিন আশপাশের গ্রামাঞ্চল থেকে কৃষকরা সবজি বিক্রি করতে আসেন। আবার সেই সবজিই আসে শহরে। শহরে এসেই দাম বেড়ে যায়।
বিডি প্রতিদিন/আশিক