চলতি মৌসুমে সিলেটের বিশ্বনাথে বাম্পার ফলন হয়েছে বোরো ধানের। কৃষককূলে ফুটেছে তৃপ্তির হাসি। বৈশাখের প্রখর তাপদাহ উপেক্ষা করে স্বপ্নের ফসল তুলতে ঘরে-বাহিরে ব্যস্ত সময় কাটছে তাদের। চলছে ধান কাটা, মাড়াই-ঝাড়াই, রোদে শুকিয়ে শেষে গোলায় তোলার মহাব্যস্ততা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক ফসল ঘরে তুলবেন এমনটাই স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা।
সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, দিগন্ত বিসৃত মাঠে দোল খাচ্ছে সোনালী ধান। ধান কাটার ধুম পড়েছে মাঠে মাঠে। বৈশাখের প্রখর রোদ্দুর ও তাপদাহ মাথায় নিয়ে কাজ করছেন কৃষকরা। কৃষক-শ্রমিক মিলে কাটছেন ধান। হাতে কাটা ধান মাড়াই হচ্ছে বোমা মেশিনে। তবে বেশির ভাগ কৃষকই কাটাচ্ছেন মেশিনের (কম্বাইনহারভেস্টার) সাহায্যে। ধান তোলার কাজে কোমর বেঁধে নেমেছেন কৃষাণিরাও। ঝড়, শীলা বৃষ্টি ও প্রাকৃতি দুর্যোগের আশঙ্কায় ধান কাটায় মহাব্যস্ত কৃষককূল।
কৃষি অফিস জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় উফশি ও হাইব্রিড জাতের ধান বেশি চাষ করেন কৃষকরা। অনুকূল আবহাওয়া, কৃষকের নিবিড় পরিচর্যা, সময়মতো সার, সেচ ও কীটনাশক প্রয়োগের কারণে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। অর্জন ছাড়িয়েছে লক্ষমাত্রা। ইতিমধ্যে কর্তন হয়েছে ৫% ধান।
উপজেলার ডুবাব বিলে কথা হয় কৃষি উদ্যোক্তা লুৎফুর রহমানের সাথে। এসময় মেশিনে ধান কাট ছিলেন তিনি। জানালেন, এবারে ফলন বেশ ভালো হয়েছে। যে মাঠেই যাচ্ছি ফসল দেখে খুশি লাগছে।
পাশেই হাতে ধান কাটছিলেন কৃষক মস্তাব আলী ও বুরহান উদ্দিন। তারা জানালেন, চাষ করেছিলেন হিরা জাতের ধান। খরচের তুলনায় ফসল হয়েছে বেশি।
এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায় বলেন, এবার বোরো ফলন বেশ ভালো হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে পানির কারনে কিছুটা সমস্যা ছিল। পরে বৃষ্টিপাতে তা কেটে যায়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আশানুরূপ ফসল ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকরা।
বিডি প্রতিদিন/এএ