নন্দিত কণ্ঠশিল্পী ও সংগীত পরিচালক হাবিব ওয়াহিদ। লোকগীতির ফিউশনের সঙ্গে শহুরে বিটের সমন্বয়ের জন্য ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন তিনি। ঈদে প্রিন্স মাহমুদের সংগীতায়োজনে তিনি ‘জংলি’তে গানও করেছেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল
কেমন আছেন?
জি, আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি।
স্টুডিওতে ব্যস্ত মনে হচ্ছে?
হ্যাঁ। গান নিয়েই তো থাকি। তাই বেশির ভাগ সময় কাটে স্টুডিওতে। এখন কিছু গানের প্রস্তুতি চলছে। তাই স্টুডিওতে।
‘তুফান’ ছবির ‘ফেঁসে যাই গানে’ প্লেব্যাক করেছিলেন, এবার প্রিন্স মাহমুদের সংগীতায়োজনে ‘জংলি’ সিনেমায়...
নিয়মিত প্লেব্যাক করার চেষ্টা করছি। ‘তুফান’ ছবির ‘ফেঁসে যাই গানে’ প্লেব্যাক করার পর গানটি শ্রোতাদের পছন্দ হয়। এরপর ‘জংলি’ সিনেমায় প্রিন্স মাহমুদ ভাইয়ের লেখা, সুর ও সংগীতায়োজনে ‘যদি আলো আসত’ গানটিতে কণ্ঠ দিই। গানটির মধ্যে অন্যরকম একটা ভালো লাগা আছে। এমনিতে প্রিন্স ভাইয়ের সঙ্গে আমার প্রথম কাজ। অন্যদিকে গানটির মধ্যে একটি মায়া রয়েছে, যেটি শ্রোতাদের পছন্দ হয়েছে।
ইত্যাদির প্রীতমের সঙ্গে...
লম্বা সময় ধরে আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি। তবে এতদিন কাজ করলেও একসঙ্গে কোনো গান করা হয়নি। ‘ইত্যাদি’র মাধ্যমে সেই সুযোগটা হলো। ভালোই লেগেছে সব মিলিয়ে। আর শ্রোতারাও আমাদের দুজনের কেমেস্ট্রি উপভোগ করেছেন।
নিজেও তো সংগীতায়োজন, সুর করেন। সে হিসেবে অন্য সুরকারদের গান গাইতে কেমন বোধ করেন?
আসলে অন্যের সুরে গাইতে বললে কখনো গাইব না, বিষয়টা এমন নয়। এর আগে অন্য সুরকারের সুরে প্লেব্যাকও করেছি। আমার কথা হলো- গান যদি ভালো লাগার মতো হয়, তাহলে গাইব, এতে অনিচ্ছার কিছু নেই। তবে দেখার বিষয় এটাই যে, ভিন্ন স্বাদের এ আয়োজন শ্রোতারা কীভাবে গ্রহণ করছে। আমরা সব সময় নিজেদের সেরা কাজই তুলে ধরার চেষ্টা করি। প্রতিবারই চেষ্টার ত্রুটি রাখি না। সে চেষ্টায় আমরা কতটা সফল তার বিচারক সব সময়ই শ্রোতা।
১৫ বছর পর গান শোনাতে নিজ গ্রামে যাচ্ছেন...
হুমম। গান শোনাতে যাচ্ছি। আসলে আমার জন্ম ঢাকায় হলেও পৈতৃক ভিটা মুন্সিগঞ্জ। সে জেলাতেই এবার একটি ওপেন এয়ার কনসার্ট হবে, সেখানেই গান করব। গান রেকর্ডিং ও স্টেজ শো নিয়ে বছরজুড়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। এ কারণে গ্রামে যাওয়ার সময় খুব কম মেলে। দীর্ঘ ১৫ বছর পর নিজ গ্রামে যাচ্ছি প্রিয় মানুষদের গান শোনাতে, এটা ভাবতেই ভালো লাগছে।
সঙ্গে তো বাবা ফেরদৌস ওয়াহিদও গাইবেন?
হুমম। বাবা ছাড়াও খুরশীদ আলম ভাই গাইবেন। আরও অনেক শিল্পী থাকবেন। আসলে বাবার সঙ্গে গান গাওয়ার আনন্দই আলাদা। সেটা খুব উপভোগ করি। আমার শ্রোতাপ্রিয় গানগুলো গাওয়ার চেষ্টা করব। আশা করছি, জমজমাট একটি গানের আসর উপহার পাবেন দর্শকরা।
গান নিয়ে আগামীর প্রত্যাশা কী?
দেশের ভিতরে হয়তো আমার অনেক প্রাপ্তি রয়েছে। এখন আমি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কোনো প্রাপ্তির মাধ্যমে দেশের সুনাম বয়ে আনতে চাই। যদি পারি সেটা হবে আরও বড় প্রাপ্তি।