সাত রঙে সেজেছে পাহাড়। বর্ষবরণে প্রস্তুত পাহাড়বাসী। রঙ তুলির আঁচড়ে রাঙানো হয়েছে পথ-প্রান্তর। শহরজুড়ে লাল-নীল আলোকসজ্জা। শুধু তাই নয়, বসানো হয়েছে লোকজ মেলা। এরই মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে শোভাযাত্রার নানা প্রতীকী আর ফেস্টুন। বাঁশ আর কাগজ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে হাতি, বাঘ, ময়ূর। নানাভাবে সাজানো হয়েছে শোভাযাত্রার জন্য বাংলা নববর্ষের বর্ণমালা। রাঙামাটি জেলা প্রশাসন চত্বরে সাজানো মঞ্চে স্থান পেয়েছে মাটির তৈরি নানা সামগ্রী।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসন মো. হাবিব উল্লাহ বলেন, বাংলা নববর্ষকে সুন্দরভাবে পালন করার জন্য নানা প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। বাঙালি সাজে সাজানো হয়েছে পুরো অনুষ্ঠানমালা। মঙ্গল শোভাযাত্রার পাশাপাশি বসানো হয়েছে মেলা। নানা রঙে-ঢঙে সাজানো হয়েছে ফেস্টুন। আশা করি সবাই খুবই আনন্দ উপভোগ করবে। এভাবে পুরনোকে বিদায় দিয়ে নতুনকে বরণ করে নিব আমরা। জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও স্বাভাবিক রয়েছে। শোভাযাত্রায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, শেষ হয়েছে পার্বত্যাঞ্চলের ১০ ভাষাভাষি ১১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বৈসাবি উৎসব। অর্থাৎ চাকমাদের বিজু, ত্রিপুরাদের বৈসুক আর তঞ্চঙ্গ্যাদের বিহু। রবিবার সকাল থেকে নাচে-গানে উৎসবে এখনো মাতোয়ারা পাহাড়ের নৃগোষ্ঠীরা। পোশাকে ফুটিয়ে তুলেছে তাদের জাতিগত পরিচয়। নানা রঙে-ঢঙে সেজে মেতে উঠেছে নানা আনুষ্ঠানিকতায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ এপ্রিল তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে শুরু হওয়া এ বৈসাবি উৎসব শেষ হয়েছে ১৩ এপ্রিল। তবে রয়ে গেছে উৎসবের আমেজ। কারণ কাল অর্থাৎ সোমবার বাংলা নববর্ষ। পাহাড়ের বাঙালিদের সাথে উৎসবে অংশ নেবে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা।
বিডি প্রতিদিন/এমআই