অন্যত্র বিয়ে হয়ে যাওয়ার খবরে সাবেক প্রেমিকাকে কুপিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ শহরের প্রিয়াঙ্গন মার্কেট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত দুজনই সিলেটের দুটি হাসপাতাল চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পুলিশ ও পরিবার জানায়, সুনামগঞ্জ শহরের নতুনপাড়া এলাকার বাসিন্দা সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থর সাথে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য ছাত্রী সুনামগঞ্জের একটি মেয়ের (২৫) সঙ্গে তাঁর প্রমের সম্পর্ক ছিল। পড়াশোনা শেষে বর্তমানে মেয়েটি নিজ উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন তিনি।
এদিকে, ৫ আগস্টের পর সঞ্জীবন আত্মগোপনে চলে গেল তাদের সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটে। পরবর্তীতে আত্মগোপনে থেকে মেয়েটিকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে রাজি হয়নি মেয়েটি ও তার পরিবার।
অন্যদিকে, অন্য একটি ছেলের সঙ্গে আগামী রবিবার মেয়েটির বিয়ের দিন ধার্য্য করে পরিবার৷সুনামগঞ্জ শহরে তার ভাইয়ের বাসায় চলছিল বিয়ের প্রস্তুতি।
পরিবার জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে মেয়েটি তার ভাবীকে সঙ্গে নিয়ে শহরের হাছননগরের প্রিয়াঙ্গন মার্কেটে একটি বিউটি পার্লারে যান। এসময় পার্লারের সামনে এসে সঞ্জীবন তাদের গতিরোধ করে মেয়েটিকে ডেকে নিয়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাত করে পালিয়ে যান৷ এ সময় আশপাশের লোকজন মেয়েটিকে আহত অবস্থায় সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রাতেই তাকে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে অস্ত্রোপচার করা হয়।
পরিবার জানায়, মেয়েটির শরীরে ধারালো ছুরির গুরুতর ১০টি আঘাত রয়েছে৷ সুনামগঞ্জ থেকে প্রথমে তাকে ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে তার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
এদিকে, সঞ্জীবন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গিয়ে শহরের ধোপাখালী শশ্মানঘাটে ঢুকে নিজের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরি দিয়ে আঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তখন আশপাশের লোকজন তাকে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়৷ বর্তমানে তিনি সেখানে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম জানান, অভিযুক্ত পার্থকে আটকের পর তিনি পুলিশি হেফাজতে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে মেয়েটির পরিবার।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল