মেহেরপুরে মৌসুমি জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। ঘরে ঘরে জ্বরের রোগী। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যা বেশি। হাসপাতালে শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে। হাসপাতালে রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। শয্যা না পেয়ে অনেকে মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ওষুধের ঘাটতিও দেখা দিয়েছে। রোগীদের বাইরে থেকে ওষুধ কিনে আনতে হচ্ছে। জ্বরের সঙ্গে শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা, মাথাব্যথা ও কাশি উপসর্গ নিয়ে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক মানুষ চিকিৎসা নিতে আসছেন মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল, গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। আক্রান্তরা এক থেকে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত জ্বরে কাবু থাকছেন। দীর্ঘদিন ক্লান্তি, খাবারের অনিহা ও দুর্বলতা ভোগাচ্ছে আক্রান্তদের। শহিদুল ইসলাম নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘আমার মেয়ে তিন দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি। এতদিনে ডাক্তার মাত্র দুবার দেখে গেছেন। সব ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হয়েছে।’
মৌসুমি আক্তার বলেন, ‘পরিবারের তিনজন চার দিন ধরে ভর্তি আছি। প্রেসক্রিপশনে দেওয়া ওষুধও হাসপাতালে নেই।’ আবু সালেহা অভিযোগ করেন, ‘স্যালাইন কিনে এনে নার্সদের দিয়েছি, তবুও দুই দিনে পাইনি।’
হাসপাতালের নার্সরা বলছেন, রোগীর চাপ ও শয্যা সংকটের কারণে সবার কাছে নিয়মমাফিক ওষুধ পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিদিনই রোগীর স্বজনদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হচ্ছে।
গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. হাবিবুর রহমান জানান, প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক শিশু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। যাদের অবস্থা গুরুতর নয়, তাদের বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। মেডিকেল অফিসার ডা. আবদুল আল আজিজ বলেন, শয্যার চেয়ে তিনগুণ রোগী আসছেন। ডাক্তার ও ওষুধ স্বল্পতার মধ্যেও সমন্বয় করে চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।