ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য আর পূজা অর্চনার মধ্য দিয়ে আজ ভোরে শেষ হওয়ার কথা দিনাজপুরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের তিন দিনব্যাপী ৫১তম মহাত্রিপুরারী কৈলাশপতির মহাস্নানযাত্রা উৎসব। দেশের জন্য শান্তি কামনা ও শিবঠাকুরকে রাজি-খুশি করতে প্রতিবছর ঝুলন যাত্রা থেকে রাখি পূর্ণিমার মাঝে সোমবার তিথিতে এই কৈলাশপতির মহাস্নানযাত্রা উৎসব পালন করেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।
গত শনিবার রাতে হাজারো ভক্ত ও পুণ্যার্থী বাস-ট্রাকযোগে ৩৪ মাইল দূরে বীরগঞ্জ উপজেলার মহুয়গাঁ গ্রাম শ্মশানঘাট মন্দির-সংলগ্ন পুনর্ভবা নদীর উত্তরমুখী প্রবাহিত জল সংগ্রহ করতে যান। সেখানে রাতব্যাপী কীর্তন চলে।
পরদিন গতকাল আকাশে সূর্য দেখা গেলে উত্তরমুখী প্রবাহিত জল সংগ্রহ করতে নদীতে নামেন হাজারো নারী-পুরুষ। সূর্যকে প্রণাম করে সেই জল সংগ্রহ করে শিবমন্দিরে জল ঢেলে পুনরায় একই নিয়মে জল সংগ্রহ করে সেখানকার পুরোহিত দিয়ে জল পবিত্র করে আনেন এবং সন্ধ্যার দিকে দিনাজপুর শহরের আনন্দ সাগরস্থ শ্রী শ্রী গোষ্ঠধাম প্রাঙ্গণে শিবমন্দিরের উদ্দেশ্যে নগ্ন পদব্রজে যাত্রা শুরু করেন।
শিবঠাকুরের মাথায় জল ঢালতে আসা রাজু বিশ্বাস, মিতনি ঘোষ ও অনন্ত কুমার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, আমরা পুণ্য করতে ও দেশ যেন ভালো থাকে সেজন্য এই পূজা করি। আবার কেউ এই পূজা করেন যাতে তার মনোবাসনা পূরণ হয়, লেখাপড়ায় ভালো করতে পারে সেজন্য। এই পূজার মাধ্যমে শিবঠাকুরের মাথায় জল ঢাললে স্বামীর আশীর্বাদ পাওয়া যায় এবং স্বামীর মঙ্গল হয়।
উল্লেখ্য, দিনাজপুরে ১৯৭৪ সালে মহাস্নানযাত্রা আনন্দসাগর মন্দিরে এই উৎসব শুরু হয়। এরপর থেকে প্রতিবছর এই উৎসব পালন করা হচ্ছে।