বাংলাদেশ প্রতিদিনে খাগড়াছড়ির নিউমোনিয়া নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে একটি দল গতকাল আধুনিক সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন। তারা হাসপাতালের চিকিৎসক ও রোগী এবং তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন। পরিদর্শন দলের আহ্বায়ক জেলা পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম সুমনের নেতৃত্বে অন্যরা হলেন-জেলা পরিষদের সদস্য মাহাবুল আলম ও সদর হাসপাতালের আরএমও ডাক্তার রিপেল বাপ্পি চাকমা। আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম সুমন বলেন, আমরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলব।
একই সঙ্গে তিনি ২৫০ শয্যার বিশিষ্ট নতুন ভবনটি চালু করলে এই সমস্যা থেকে উত্তরণ ঘটানো যাবে বলেও মন্তব্য করেন।’
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রিপেল বাপ্পি চাকমা বলেন, ‘শিশু ওয়ার্ডের জন্য বরাদ্দ আছে ১৫টি সিট। বর্তমানে ভর্তি আছে ৫৭ জন শিশু রোগী। তিন গুণেরও বেশি রোগী নিয়ে আমরা চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি। লোকবল সংকট ও পর্যাপ্ত সিটের অভাবে আমাদের চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে।’ উল্লেখ্য, খাগড়াছড়ি জেলা আধুনিক সদর হাসপাতালে গত ২০ দিনে ১২ জন শিশু নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। শিশু ওয়ার্ডে বেড রয়েছে ১৫টি। কিন্তু প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৭০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি থাকে। এ নিয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রতিদিনের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।