সড়কের পাশে অপরিকল্পিতভাবে জয়পুরহাট পৌরসভার ময়লার ভাগাড় স্থাপন করায় দুর্ভোগ বেড়েছে এলাকাবাসীর। বর্জ্য ফেলানোয় দূষণ ছড়াচ্ছে আশপাশে। দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। ময়লা-আবর্জনার স্তূপ জমে মশা-মাছির উপদ্রব বেড়েছে। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে স্থানীয়রা। এর কারণে মানুষের বিভিন্ন রোগের উৎপত্তি হতে পারে, বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। জানা গেছে, জয়পুরহাট শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে খনজনপুর-পাহাড়পুর সড়কের পাশে মিশন পূর্বপাড়া এলাকায় প্রায় দেড় যুগ আগে ইজিপি-১ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৩ একর জমিতে স্যানিটারি ল্যান্ডফিল নির্মাণকাজ শুরু হয়। তবে তা চালু হয়নি। এখন তা পরিণত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে। স্থানীয়দের অভিযোগ, স্যানিটারি ল্যান্ডফিলের আওতায় এখানে বর্জ্য থেকে জৈব সার তৈরির নানা স্থাপনা ও যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছিল। আধা ভাঙা স্থাপনাগুলো থাকলেও অযত্ন অবহেলায় উধাও হয়েছে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি। চালুই হয়নি জনগুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিষ্ঠান। বছরের পর বছর জয়পুরহাট শহরের সব ময়লা-বর্জ্য এখানে ফেলা হচ্ছে। এতে দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে আশপাশের মানুষ। আরও জানা গেছে, ২০১৯ সালে প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সদর উপজেলার কাদিরপুর এলাকায় নির্মাণ করা হয় আরও একটি আধুনিক স্যানিটারি ল্যান্ড ফিল ও পয়োবর্জ্য পরিশোধনাগার। সেখানেও বর্জ্য স্থানান্তর করা হয়নি। স্থানীয় সামসুন্নাহার বেগম বলেন, ‘দুর্গন্ধে ছেলেমেয়েদের স্কুলে যেতে সমস্যা হয়। বিয়ে দেব, মানুষ বলে ময়লাপাড়া। এ জন্য এ এলাকায় কেউ বিয়ে দিতে চান না। আত্মীয়স্বজন আসতে চান না।’ মজিবর রহমান বলেন, ‘এখানে কলকারখানার জন্য অনেক ঘর করা হয়েছিল। একটা সময় আমি দেখাশোনা করতাম। এখানে পাথর, ট্যাঙ্কি ও পাইপসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ছিল।’সোহেল রানা বলেন, ‘দুর্গন্ধের কারণে আমাদের এদিক দিয়ে চলাফেরা করতে খুবই সমস্যা হয়। যারা চলাচল করে তাদের নাক চেপে যেতে হয়।’ জয়পুরহাট পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আবু জাফর মো. রেজা বলেন, ‘ল্যান্ডফিল নির্মাণ করা হয়েছে সেখানে পরিবেশ ছাড়পত্র রয়েছে। জনবহুল এলাকায় পৌরসভার বর্জ্য ফেলায় পরিবেশের ও মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে। এ জন্য তাদের আপত্তিতে নতুন ল্যান্ডফিলে বর্জ্যগুলো সরিয়ে নেওয়ার চিন্তা করছি। আশা করছি দ্রুত বাস্তবায়ন হবে।’ তবে পরিবেশ অধিদপ্তর জয়পুরহাট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ফারুক হোসেন বলেন, ‘খনজনপুর মিশনপূর্বপাড়া এলাকায় পৌরসভার ময়লা যেখানে ফেলা হয়, সেখানকার পরিবেশগত কোনো ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। তারা পরিবেশ ছাড়পত্রের জন্য আবেদনও করেননি।’ জয়পুরহাট সিভিল সার্জন ডা. আল মামুন জানান, ‘পৌরসভার বর্জ্যে অনেক ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে। এতে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। এর কারণে মানুষের বিভিন্ন রোগের উৎপত্তি হতে পারে। এ বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মিটিং হয়েছে।’
শিরোনাম
- ১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ বাটলারের
- মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
- উলভসের হল অব ফেমে জায়গা পেলেন জটা
- চূড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারেক রহমান : রিজভী
- শ্রোতাদের জন্য হাবিবের নতুন গান ‘দিলানা’
- কোটি মানুষের একটাই দাবি—ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া : মঈন খান
- পঞ্চগড়ে বিএনপির মৌন মিছিল
- ইন্টারনেট শাটডাউন রোধে আসছে আইন : ফয়েজ আহমদ
- কাপ্তাই হ্রদের উন্নয়নে দুই উপদেষ্টার মতবিনিময়
- সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল : মির্জা আব্বাস
- চলতি মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের : সালাহউদ্দিন
- সুনামগঞ্জে পানিতে ডুবে ৩ জনের মৃত্যু
- মার্কিন কূটনীতিকদের বিদেশি নির্বাচন নিয়ে মতামত না দিতে নির্দেশ
- বাফুফের ফুটসাল ট্রায়াল শুরু রবিবার
- গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল
- যেদিন শেখ মুজিবের কবর জিয়ারত করেছিলেন তারেক রহমান
- বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের কার্যক্রম শুরু
- ইমামদের নিয়োগ ও বরখাস্ত সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী হতে হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
- ষড়যন্ত্রকারীরা গণতন্ত্র ফেরানোর পথে প্রধান অন্তরায় : ডা. জাহিদ
- গাজীপুরে কাভার্ডভ্যান চাপায় মা-বাবা ও ছেলেসহ নিহত ৪