জুলাই আন্দোলনের পটভূমি তৈরি করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলে জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, তিনি আমাদের সকল নেতাদের বলেছেন এই ছাত্রদের কোটা বিরোধী আন্দোলনে শরিক হন। এটাই হবে আমাদের গণতন্ত্রের ও সংগ্রামের ফাইনাল খেলা। চূড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারেক রহমান। এই কারণে প্রত্যেকটি বাড়ি থেকে প্রত্যেকটি ঘর থেকে ছাত্রদের হাত ধরে বাবা-মা বেরিয়ে এসে রাস্তায় দাঁড়িয়েছে। শেখ হাসিনা শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছে। সে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলেছিলেন তোমরা আন্দোলন দমন করতে যে অস্ত্র লাগে ব্যবহার করো। ছেলেদের হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছিল। তারপরেও শেখ হাসিনা নিজেকে রক্ষা করতে পারেনি। পতন হয়েছে, পালিয়ে যেতে হয়েছে।
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে শুক্রবার বিকেলে নগরীর অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে বরিশাল মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আয়োজিত শোক র্যালি পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে পিটিয়ে ও পাথর মেরে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগ হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী জানান, মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে সোহাগ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের শুধু বহিষ্কার নয়, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার জন্য প্রশাসন কিংবা সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা না করে একটি পক্ষ বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার আর কুৎসায় নেমেছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু তারা সরকারকে নিয়ে কোন কথা বলছে না। পুলিশকে কিছু বলছেন না। সন্ত্রাসীকে ধরবে কে রাজনৈতিক দল না পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, আমরা দেখলাম খুলনায় মাহবুব নামের বিএনপির এক লোককে প্রথমে গুলি করা হলো, তারপরে তার পায়ের রগ কেটে দেয়া হল। পায়ের রগ কাটে কারা আপনারা জানেন? ঈমামকে ছুরিকাঘাতে হত্যা চেষ্টা হয়েছে। এই ঘটনাগুলো নিয়ে আপনারা কোন মন্তব্য করলেন না।
রুহুল কবির রিজভী শোকর্যালিতে অংশ নেয়া নেতাকর্মীদের প্রশ্ন করেন, গোপালগঞ্জ কি বাংলাদেশের বাইরে। শেখ হাসিনা শান্তি চায় না, গণতন্ত্র চায় না, শেখ হাসিনা চায় ক্ষমতা। তাই পাশের দেশে অবস্থান করে তার দলীয় নেতাকর্মীদেরর দিয়ে এনসিপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশে অনেক সংকট থাকার পরও ড. ইউনূস সরকারকে আমরা সবাই সমর্থন জানিয়েছি। কেননা এই সরকার শেখ হাসিনার মতো বিদেশে অর্থ পাচার করবে না।
রিজভী বলেন, স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনা ১৬ বছর ধরে গণতন্ত্রের দরজা বন্ধ করে জনগণের ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছেন। আমাদের এখন সেই বন্ধ দরজা আবার খুলতে হবে এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে সরকার গঠন করে জনগণের কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে হবে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মোর্শেদ হাসান খান। মহানগর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন সিকদার ও আবুল কালাম শাহীনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, মাহবুবুল হক নান্নু, এবায়দুল হক চান, মেজবাহউদ্দিন ফরহাদ, দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান, উত্তরের আহ্বায়ক দেওয়ান মো. শহীদুল্লাহ প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/শআ