হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর লোকজনের সংঘর্ষে ৪০ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে কয়েকটি বাড়িঘর ও দোকান। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জলসুখা গ্রামে গতকাল সকালে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, জলসুখা গ্রামের ডা. রেজাউল করিম এবং স্থানীয় বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ফয়েজ আহমেদ খেলুর লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এর জেরে এক মাস আগেও সংঘর্ষ হয়েছে। সোমবার উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। বিষয়টি তাৎক্ষণিক মীমাংসা করে দেন মুরুব্বিরা। এ হাতাহাতি কেন্দ্র করে গতকাল সকালে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। ডা. রেজাউল করিম জানান, কিছুদিন আগে প্রতিপক্ষ আমার ওপর হামলা করে। এ ঘটনায় আমি মামলা করি। সোমবার ওই মামলায় পুলিশ আসামি ধরতে গ্রামে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের লোকজনকে মারধর করে। গতকালও তারা আমাদের লোকজনের ওপর হামলা করলে এলাকাবাসী প্রতিহত করেন। ফয়েজ আহমেদ খেলুর পক্ষের সাবেক ইউপি সদস্য লিবাছ মিয়া জানান, রেজাউলের লোকজন আমাদের পক্ষের এক নারীকে রাস্তায় একা পেয়ে মারধর করে। এর জেরে সংঘর্ষ হয়েছে।
প্রতিপক্ষরা আমাদের কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে। আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পূর্ব বিরোধের জেরে গতকাল দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে নারীসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় উভয় পক্ষের ১৫টি বাড়িঘরে ভাঙচুর চালানো হয়। সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের চান্দের বাড়ি ও ছলিম বাড়ির গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে সকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানায়, স্থানীয় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে অধিপাত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছে। চান্দের বাড়ির গোষ্ঠীর নেতৃত্বে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ বাহার, সাবেক ইউপি সদস্য তকদির হোসেন ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মোবারক হোসেন। ছলিম বাড়ির গোষ্ঠীর নেতৃত্বে রয়েছেন কামাল হোসেন। ওসি মোজাফফর হোসেন বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।