গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার তেকানী গ্রামে একটি ব্রিজ ভেঙে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ওই এলাকার ৩০ গ্রামের লাখো মানুষ। বিকল্প পথ না থাকায় বাধ্য হয়ে এর ওপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুল-কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ চলাচল করে। এখানে দ্রুত একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হোক, দীর্ঘদিনের দাবি এলাকাবাসীর।
জানা গেছে, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের নলডাঙা তেকানী গ্রামের সীমানা ঘেঁষে বয়ে গেছে করতোয়া নদী। এ নদীর ঋষিঘাটের পশ্চিমে চাউলডুবা ও পোড়াদহ বিলের পানি নেমে যাওয়ার জন্য নালা রয়েছে। এর এপারে উপজেলার কাশিয়াগাড়ী ওপারে দিনাজপুরের রানীগঞ্জ যাওয়ার জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা হওয়ায় ওই নালার ওপর প্রায় ৯ বছর আগে ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তদারকি ও ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে কিছুদিন পরই ব্রিজটির মাঝখানে ভেঙে যায়। ভাঙা ব্রিজের ওপর দিয়ে স্কুল-কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। পথচারী ও এলাকাবাসী বলছেন, যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এর পরও ভাঙা ব্রিজের ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে আসছে অন্তত ৩০ গ্রামের মানুষ। এর মধ্যে এপারে কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের নলডাঙা, তেকানী, চকবালা, কাশিয়াবাড়ী, জাফর, মুংলিশপুর, পালপাড়া, শীলপাড়া, গনকপাড়া, হাসানখোর, রামচন্দ্রপুর, জাইতর, গণেশপুর, বেঙ্গুলিয়া, বাড়াইপাড়া, বড়শিমুলতলা, মির্জাপুর, প্রজাপাড়া ও কিশোরগাড়ী গ্রাম। ওপারে ঋষিঘাট, বোদর, বাগপাড়া, শীলপাড়া, খাড়োল, বালুপাড়া, শ্যামপুর, চাঁদপাড়া, শিখনিপাড়া, দুর্গাপুর ও রানীগঞ্জ। বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভেঙে যাওয়া ব্রিজটির ওপর দিয়ে ইজিবাইক, ভ্যান, বাইক, সাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন, শিক্ষার্থী, কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লাখো মানুষ চলাচল করছে।
স্থানীয় হারুনর রশীদ বলেন, এই রাস্তা দিয়ে সবসময়ই মানুষ চলাচল করে। দ্রুত ব্রিজটি পুনর্নির্মাণ হলে আমাদের চলাচল ও কৃষি পণ্য আনা নেওয়ার সুবিধা হবে। তিনি ব্রিজটি নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
কিশোরগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ব্রিজটি দিয়ে ৩০ গ্রামের লাখো মানুষ যাতায়াত করে। ব্রিজটি পুনর্নির্মাণ খুবই প্রয়োজন।
পলাশবাড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবদুস ছালাম বলেন, সরেজমিন তদন্ত করে ব্রিজটি পুনর্নির্মাণে প্রস্তাবনা পাঠানো হবে। অনুমোদন পেলে ব্রিজটি নির্মাণ করা হবে।